বাজেটে কোনো ঘোষণা না থাকলেও নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।এমপিও দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষকদের রোজার মধ্যে কষ্ট না করে ঘরে ফিরে যাওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে এফসিসিআইয়ের দুটি মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী একথা বলেন।২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি শর্ত দিয়ে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে আলাদা বরাদ্দ রাখা হবে বলে বাজেটের আগে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের শেষ বাজেটে এমপিও নিয়ে কোনো ঘোষণা না থাকায় গত রোববার থেকে ঢাকায় আন্দোলনে নেমেছেন নন-এমপিও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা।

নাহিদ বলেন, বাজেটে অনেক বিষয়ে উল্লেখ করে দেওয়া নেই, কোন টাকা কোন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমপিওভুক্ত করার জন্য আগেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীও এটা জানেন। সেই হিসেবে আমরা এখন থেকেই এমপিওভুক্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।বাজেটে আলাদা করে কোনো কিছু বলা না থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে কোনো সমস্যা দেখছেন না শিক্ষামন্ত্রী।এই টাকা বাজেটে আলাদা করে উল্লেখ না থাকলেও যে টাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে, তা থেকেও কিছুটা দেওয়া সম্ভব কিংবা থোক বরাদ্দ থেকেও অর্থ মন্ত্রণালয় দিতে পারে।

এটার একটা ফয়সালা করে আমরা পরবর্তীতে দেব। দেব না, তা মোটেই না। কিন্তু আমরা কীভাবে দেব, না দেব, সেটা ডিলের ব্যাপার। বাজেটে উল্লেখ না থাকলেও এটা কোনো বাধা না, এটা সম্ভব।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে নাহিদ বলেন, আমি আশা করি, এটা নিয়ে আন্দোলন করার কোনো প্রয়োজন নেই। মিছিমিছি রোজার মাসে কষ্ট না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।এটা বাজেটে উল্লেখ করা জরুরি কোনো বিষয় না, অনেক বিষয়ই তো উল্লেখ নাই। উপযুক্ত বরাদ্দ আছে, হয়ত উল্লেখ করে তিনি (মুহিত) কিছু বলেননি। সার্বিক অর্থের মধ্যে সব টাকাই দেওয়া আছে।টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ বিক্রি হচ্ছে বলে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।এ বিষয়ে এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বোর্ডের আওতায় একটি কমিটি গঠন করেছি, আরও উচু স্তরের একটি (কমিটি) করব।অবশ্যই সত্যতা প্রমাণ করে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব, এ ব্যাপারে নো কম্প্রোমাইজ। দুর্নীতি, অন্যায় ও অনিয়মে জিরো টলারেন্স, ব্যবস্থা অবশ্যই হবে। কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে দুটি মাইক্রোবাস দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফসিসিআই)।শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীনের উপস্থিতিতে এফবিসিসিআইভুক্ত দুটি সংগঠনের নেতারা মন্ত্রীর হাতে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে দুটি গাড়ি দিয়েছে।বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিযয়েশনের সাবেক সভাপতি ও শাহরিয়ারর স্টিল মিলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে মাসুদুল আলম মাসুদ এবং বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক মন্ত্রীর হাতে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব সোহরাব হোসাইন, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল করীম ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।