মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বারইকোনা এলাকায় মনু নদীর ভাঙনের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শহরের সঙ্গে সিলেট ও চার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

মৌলভীবাজারে মনু নদীর ভাঙনে শহরের একাংশ প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েক দিনে মনু ও ধলাই নদীতে মোট ২০টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে কুলাউড়া , কমলগঞ্জ , রাজনগর ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাড়ী ঘরসহ দুই শতাধিক দোকানে পানি প্রবেশ করেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ।

এদিকে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশেষ দল দূর্গত এলাকা থেকে পানিবন্দি মানুষ উদ্ধারে সহযোগীতা করছে।

চারটি সরকারি খাদ্য গুদামে পানি প্রবেশ করায় মজুদ করা খাদ্য নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি। জেলা শহরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিলেটসহ চার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গত এলাকায় ১২৫ মেট্রিক টন চাল ,নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরও ত্রাণ বরাদ্ধের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম।

এদিকে হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। লোকজন তাদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে।