ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এক রাজনৈতিক সমাবেশে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই গ্রেনেড হামলা হয়েছে।শনিবার রাজধানীর মেস্কেল স্কয়ারের ওই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আবির ভাষণ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট পরই একটি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসির।

প্রধানমন্ত্রী যেখানে ছিলেন, সেই মঞ্চ লক্ষ্য করে কেউ একজন গ্রেনেডটি নিক্ষেপের চেষ্টা করেছিল বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন জনসভা প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সৈয়ম টেশোমে।বিস্ফোরণের পর তাৎক্ষণিকভাবে তড়িঘড়ি করে আবিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।৪১ বছর বয়সী সাবেক সৈনিক নতুন প্রধানমন্ত্রী আবির প্রতি জনসমর্থন তুলে ধরতে সমাবেশটির আয়োজন করা হয়েছিল।ওই গ্রেনেড বিস্ফোরণে অন্তত ৮৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ ফিতসুম আরেগা।প্রধানমন্ত্রী আবির প্রতি সমর্থন জানাতে হাজার হাজার লোক ওই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিল। ছবি: রয়টার্স

আহতদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও কেউ নিহত হয়েছেন, এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে এক টুইটে জানিয়েছেন আরেগা।বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আবি বলেছিলেন, কয়েকজন ইথিওপীয় আহত হয়েছেন। কয়েকজন প্রাণও হারিয়েছেন। ইথিওপিয়ার ঐক্য চায় না, এমন শক্তিগুলো ব্যর্থ এ হামলা চালিয়েছে।আদ্দিস আবাবার পুলিশ কমিশনের উপপ্রধান গিরমা কাসা রাষ্ট্রীয় ফানা ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে হামলায় ১০০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন; আহতদের মধ্যে ১৫ জনের আঘাত ‘গুরুতর’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।কয়েক বছর ধরে চলা সরকার বিরোধী ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইথিওপিয়া। প্রতিবাদ কখনো কখনো প্রাণঘাতী সহিংসতার রূপও নিয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্র“য়ারিতে আগের প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম দেশালেগেন অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রী হন আবি। তিনি অরোমো নৃগোষ্ঠী থেকে আসা ইথিওপিয়ার প্রথম নেতা।এই গোষ্ঠীটিই প্রায় তিন বছর ধরে চলা সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্রে ছিল। প্রায়ই সহিংস রূপ নেয়া ওই প্রতিবাদ বিক্ষোভে কয়েকশত লোকের মৃত্যু হয়েছিল।