দুই দলই প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথ অনেকটা পরিস্কার করে রেখেছে। প্রথম ম্যাচে জাপান হারিয়েছিল শক্তিশালী কলম্বিয়াকে। আর সেনেগাল হারিয়েছিল ইউরোপীয় শক্তি পোল্যান্ডকে। একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশন নিয়ে আজ মুখোমুখি হলো জাপান এবং সেনেগাল।

কিন্তু একাতেরিনবার্গে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে কেউ কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। দু’দলই গোল পেয়েছে। প্রথমার্ধ শেষে দু’দলই সমতায় ছিল ১-১ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে দু’দল আরও ১টি করে গোল দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হলো ২-২ গোলের সমতায়।
জাপান-সেনেগালেল এই ড্রয়ে, দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার ক্ষেত্রে দু’দলের সামনেই দারুণ সুযোগ রয়েছে। যদিও পরের ম্যাচ কলম্বিয়া আর পোল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচে এই দুই দলই হেরে। দু’বার পিছিয়ে পড়েছিল জাপান। দু’বারই তারা ফিরে এসেছে ম্যাচে। ম্যাচের ১১ মিনিটেই গোল করে সেনেগালকে এগিয়ে দেন দলটির তারকা ফুটবলার সাদিও মানে। ৩৪ মিনিটে জাপানকে সমতায় ফেরান তাকাশি ইনুই। এরপর ৭১ মিনিটে সেনেগালের হয়ে গোল করেন মুসা ওয়াগুই এবং ৭৮ মিনিটে জাপানের হয়ে গোল করেন কেইসুকে হোন্ডা।

ম্যাচের ১১তম মিনিটে সৌভাগ্যের ওপর ভর করেই গোল পেয়ে যায় সেনেগাল। বক্সের মধ্যে ইগুইয় ক্রস করেন। ব্যাক পোস্টে বলটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে জাপানি এক ডিফেন্ডার সেটা দিয়ে ইউসুফ সাবালির কাছে। দুর্দান্ত এক শট নেন তিনি। সেটি দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়েও দেন জাপান গোলরক্ষক ইজি কাওয়াশিমা।

কিন্তু দুর্ভাগ্য জাপানের। ফিরতি বলটির সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন সাদিও মানে। তাকের কোনো কাজই করতে হয়নি। বলটি শুধু তার পায়ে লেগেছে এবং জড়িয়ে গেলো জাপানের জালে। সেনেগালের সৌভাগ্য, দুর্ভাগ্য জাপানের। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়লো।

৩৪ মিনিটে তাকাশি ইনুই সমতায় ফেরান জাপানকে। ইউতো নাগামোতো দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল বাড়িয়ে দেন তাকাশি ইনুইয়ের দিকে। ডান পায়ের দারুণ এক শটে ইনুই বলটি জড়িয়ে দেন সেনেগালের জালে।

প্রথামর্ধের বাকি সময়টা আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে কেটে গেলেও কেউ গোল পেলো না। জাপান-সেনেগাল কেউ কারও চেয়ে কম ছিল না। একবার জাপান আক্রমণে ওঠে তো পাল্টা আক্রমণে চলে আসে সেনেগাল।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর এগিয়ে যাওয়ার লড়াই শুরু সেনেগাল আর জাপানের মধ্যে। মুহূর্মুহু আক্রমণে একে অপরের রক্ষণভাগকে তুমুল ব্যাস্ত করে তোলে দুই দল। শেষ পর্যন্ত ৭১ মিনিটে জাপানের গোলের তালা খোলেন মুসা ওয়াগুই। সাদিও মানে বলটি বানিয়ে দেন বক্সের মধ্যে। সাবালি বলটি রিসিভ করে দারুণ টার্ন নেন। ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দেন নিয়াংকে। তিনি ব্যাকহিলে পাস দিতে যান। কিন্তু সেটি ছিল ভুল পাস। এই ভুল পাসই সেনেগালের জন্য রক্ষাকর্তা। বলটি পেয়ে যান মুসা। দারুণ এক শটে সেটি জড়িয়ে দিলেন তিনি জাপানের জালে।

গোল খাওয়ার পর অবশ্য সেটি শোধ করে দিতে খুব বেশি সময় নেয়নি জাপান। মাত্র ৭ মিনিট। কেইসুকে হোন্ডার দুর্দান্ত এক গোলে সমতায় ফেরে জাপান। তাকাশি ইনুইয়ের দুর্দান্ত এক পাস ছিল হোন্ডার কাছে। বল পেয়েই সেটাকে নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর বাম পায়ের অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন সেনেগালের গোলরক্ষককে। শেষ পর্যন্ত দু’দল ম্যাচ শেষ করে ২-২ গোলের সমতায়।