আমাদের স্কুল টা কে সন্তানদের স্কুল “বানাতে” পারলাম না।এতো বড় স্কুলের নামই আড়াল করে, ব্যাংক এর সাইন বোর্ড বসানো হয়েছে। আজ ব্যাংক ও ( মার্কেট) দোকান।এখন কি বুঝে আবার স্কুল ভবন কে মসজিদ কমপ্লেক্স বানিয়েছে (প্রায়১০০ গজের মধ্যে দুই টা মসজিদ থাকবার পরও কি প্রয়োজন ), হয়ত দেখাযাবে, মন্দির,বা গির্জা ও হতে পারে প্রয়োজনে। আমাদের স্কুল শহীদ আবুতালেব উচ্চ বিদ্যালয়।সরকারের অনুদান, জনপ্রতিনিধিদের আনুদান,সব” গ্রহন করছে এই স্কুল, অন্যান্য স্কুল এর মত,খেলার মাঠ ছিলো,ছিলো হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রি,এখন কেনো নেই? আনুদান তো আগের চাইতে “কোটি” গুন বেড়েছে।ছাত্র ছাত্রী কেনো “না” বেড়ে কমেছে? খতিয়ে দেখা দরকার। বহুতল ভবন দুইটা তৈরী হলো।তৈরী হলো তিনতলা পর্যন্ত (একপাস) শাড়ীর দোকান। ছাত্র, ছাত্রী দের সংখ্যা কমেগেলো! বর্তমানে কয়েকশ হতে পারে। অন্য ভবনের নিচ তলা ব্যাংক,এবং স্কুলের নামাজের স্থান ছিলো, ক্লাস রুম ভেংগে একটি মসজিদের সাইনবোর্ড ও কার্যক্রম শুরু। শোনা যাচ্ছে ও বোঝা যাচ্ছে দুষ্ট উদ্দেশ্য।

এই স্কুলেই পড়েছিলাম লাল শালু গল্পে, সেখানে ছিলো মজিদ একটি চরিত্র, এই স্কুলে সেই মজিদ চরিত্র টি কে?একাধিক মজিদ এখানে, ধংশ করছে শিক্ষা ব্যাবস্থা,কিন্তু কেনো?যেখানে নন এমপিও ভুক্তরা শহীদ মিনারে আন্দলন করছে, সেখানে এমপিও ভুক্ত স্কুল, বানিজ্য কমপ্লেক্স তৈরী করছে। এর কি পরিবর্তন আসবে? আমার মনেহয় আমরা যারা এই স্কুলে পড়া লেখা করেছি তারা সবাই মিলে উদ্দগ নিলে হয়তো স্কুলটা স্কুল থাকবে, না হয় উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থানে উচ্চ মার্কেট নাম করন হয়ে যেতে সময় লাগবে না। জনপ্রতিনিধিরা, মজিদ চরিত্র গুলার কাছে বোকা হয়ে গেলেন? নাকি ইচ্ছা করেই বোকা সাজছেন! বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রংগো তামাসার সুযোগ পাচ্ছে এক শ্রেনী, এই সকল কারনে। স্কুল ও মসজিদ নাম ব্যবহার করে কমেটির নামে বরাদ্দ নিয়ে দখলের জন্য? এর পর হবে বহুতল মার্কেট হবে কোটি কোটি অর্থ আত্মসাৎ। স্কুল কমেটিতে কারা? তাদের ক জনার সন্তান এই স্কুলে আছে? আমার জানামতে এই স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিদির কারো সন্তান স্কুল পড়ুয়া নাই। তাহলেই বুঝা যায়, এখানে স্কুল পরিচালনা করবে?মসজিদ পরিচালনা করবে নাকি ব্যবসা সফল হবে।সামনে স্কুলের ৫০ বর্ষপূর্তি তার আগেই স্কুলের,সকল অনিয়ম দুরকরে তার আগের স্থানে নিয়ে আসতে হবে,তাহলেই, এলাকার হাজর শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা হবে।

Kiron Zakaria