ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন। বুধবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তপর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে অনলাইন অ্যাপলিকেশন গ্রহণ এবং ব্যবস্থাপনা ও বিধি মতে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ তিনি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসী কর্মকা- প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষক-অভিভাবক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, কমিউনিটি নেতা ইমাম, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপিওভুক্তির বিষয়ে বলেন, ‘এমপিওভুক্তি একটি খারাপ কার্যক্রম। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য এটা কোনও ভালো কার্যক্রম নয়। উপবৃত্তিতে অর্থ দেওয়া যায়, সেটা অনেক ভালো কাজ করে। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য যদি আমরা স্কুল ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি অনেক ভালো হবে। কেন আপনারা (সংসদ সদস্য) সেগুলোর দিকে নজর দেন না? বারবার এমপিওভুক্তি করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু এটা খুব ভালো প্রোগ্রাম নয়। আমার এই অপিনিয়নটা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম। আপনারা এখন নিজেরা চিন্তা করে দেখেন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

এর আগে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। এক ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে ৩৪ পৃষ্ঠার উত্তরের ২৬ পৃষ্ঠা পাঠ করে শোনান প্রধানমন্ত্রী।