প্রশাসন ক্যাডারের সুদক্ষ কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মাহমুদ হাসান (অতিরিক্ত সচিব) দেশের অষ্টম এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দ্বিতীয় বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল মঙ্গলবার তাকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।

ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে গণিতে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন মাহমুদ হাসান। পরে প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৯ সালে বিসিএস ৮ম ব্যাচে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। এর পর সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসকসহ মাঠ পর্যায়ের দেশের সাতটি বিভাগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ লাভের মধ্য দিয়ে মাহমুদ হাসান আটটি বিভাগেই চাকরি করছেন। তিনি ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালায়শিয়া, যুক্তরাজ্য সফর করেন। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘নেগোসিয়েশন এবং লিডারশিপ’-এ উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি। ময়মনসিংহের পাশ্ববর্তী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মাহমুদ হাসান। তার পিতা মরহুম আলহাজ্জ্ব মোমতাজ উদ্দিন হাইস্কুলের একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। বিবাহিত জীবনে মাহমুদ হাসান দুই ছেলের বাবা।

দেশের অষ্টম এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দ্বিতীয় বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ লাভ করায় মাহমুদ হাসানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বিভিন্ন মহল তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। পৃথক বার্তায় অভিনন্দন জ্ঞাপনকারীরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মসনসিংহ পৌসভার মেয়র ইকরামূল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আমিনুল হক শামীম (সিআইপি)।