জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পচাত্তরের কালো রাতে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। পচাত্তর পরবর্তী সরকার আমাকে দেশে আসতে দেয় নি। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দেশে এসেছি। দেশের মানুষের ভালোবাসাই আমাকে নিয়ে এসেছে। রোববার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১০ বছরেই বাংলাদেশ হতো উন্নত দেশ। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেওয়া হলো না। জাতির জনকের শাহাদাতের পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশ-জাতি হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে কিছুই চাই নি। চেয়েছি শুধু দেশের মানুষের ভাগ্যেন্নয়ন। বঙ্গবন্ধু যে দেশটি আমাদের দিয়ে গেছেন সেদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চেয়েছি। সবাই যেন সুখ-শান্তিতে থাকতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে চেয়েছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশের সর্বত্র উন্নয়ন চোখে পড়ছে। তৃণমূলে উন্নয়নে ছোঁয়া নিশ্চিত করতেই আমরা কাজ করছি। সবাই যেন উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করতে পারে সেদিকেই আমাদের দৃষ্টি।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এসএসএফের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ তিন বাহিনীর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় এসএএফের দায়িত্বশীল ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন।সেই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিরাপত্তা রক্ষার কড়াকড়িতে যেন তাঁকে (প্রধানমন্ত্রী) জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে না ফেলেন সেদিকেও সজাগ থাকার আহবান জানান।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগনই সব ক্ষমতায় উৎস। তাদের জন্যই আমরা। সুতরাং তাদের দিকটি সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকারে রাখতে হবে।