রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গ্রেফাতার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আজ ১৬ জুলাই রোজ সোমবার বিকাল ৩.৩০টায়, গুলিস্থান মহানগর নাট্টমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি গন-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা অগণতান্ত্রিকভাবে অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে গালিগালাজ করতে পারছে। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্র না থাকতো, তাহলে বিএনপির নেতারা প্রকাশ্য অগণতান্ত্রিক, অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে গালিগালাজ করতে পারতো না। এ সব অশ্রাব্য মিথ্যাচার করার পরও পল্টন অফিসের সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করেনি, পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি।
তিনি বলেন, তারা যেখানে ইচ্ছা বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলেও তারা বলছে দেশে গণতন্ত্র নাই। টকশো গিয়ে তাদের নেতারা যে ভাষায় ব্যবহার করেন, এখানে আমরা বিরোধী দলে থাকলে টকশো করার পর তারা রাস্তায় আটকাতো। আমরা তা পারি না। তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছেন, তারপরও তারা বলছেন দেশে গণতন্ত্র নাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আমার অনেক প্রশংসা করা হচ্ছে। এর ম্ল্যূায়ন হবে আগমী নির্বাচনে, যদি আওয়ামী লীগ না জিততে পারে তাহলে আজকের সকল প্রশংসা গালিতে পরিণত হবে। যারা আজ প্রশংসা করছে, তাঁরা তখন বলবে ব্যর্থ সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় নির্বাচনে জিতলেই কেবল সফল সাধারণ সম্পাদক হতে পারবো।
যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, রাজনীতিতে লেগে থাকুন, পরিশ্রম করুন, দলের জন্য কষ্ট করুন, ত্যাগ করুন তা বৃথা যাবে না। শেখ হাসিনা যতদিন আছে, ত্যাগী কর্মীদেরও ততদিন মূল্যায়ন আছে। কেউ দুইদিন আগে পাই, কেউ দুইদিন পরে পাই। এতে হতাশা কারো মধ্যে যেন না পায়। আমাকে দিয়েই চিন্তা করুন। আমিতো বলি শেখ হাসিনার মতো উদারচিত নেতা না থাকতো, কর্মীর মূল্যায়ন যিনি করেন। জেল খেটেছি, ত্যাগ করেছি তার মূল্যায়ণ তিনি (শেখ হাসিনা) করেছেন। শেখ হাসিনা না থাকলে আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হতাম কিনা জানা নাই। শেখ হাসিনা থাকলে এ দলে মূল্যায়ণ হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ জন্য শেখ হাসিনাকে আমরা শ্রদ্ধা করি, হৃদয় থেকে ভালোবাসি। অন্যদলে নেতাদের অনুপস্থিতিতে নিয়ে কানাঘুষা আছে, সমালোচনা আছে। নেতার পথ নিয়ে ভিন্নমত আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অটল ও অবিচল।
জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগ নেতাদের উদেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি চান, আমরা এমন কোন প্রার্থী মনোননয় দি যিনি উইনেবল ও গ্রহণযোগ্য নন। জেতার মতো পজিশনে নাই। সব জনমত জরিপ শেখ হাসিনার কাছে জমা আছে। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি নির্বাচনের জেতার মতো যোগ্যতা অর্জন করলে বঞ্চিত হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারাবন্ধীর দিন, জনগণের অধিকার হারাবার দিন, গণতন্ত্র হত্যার দিন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করে গিয়েছিলেন, তাইতো বলি দেশ দিয়েছে জাতির পিতা, সাগর দিলে তুমি, পিতা দিলো স্বাধীনতা, স্বপ্ন জাগালে তুমি, বাংলাদেশের মানচিত্র পাল্টালো কে, শেখ হাসিনা, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ এখন দুই লক্ষের অধিক, জল, স্থল ও আকাশ জয় করলো কে? শেখ হাসিনা, প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ ৩য়, চীন এক ভারত দুই। হাওর, বাওর, নদী , বিল ও অন্যান্য উম্মুক্ত জলাশয় থেকে আহরন করা মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশের উন্নতির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি। জাতির পিতার অসম্পুর্ন সপ্নই এখন পূরন করে চলেছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রনায়ক উপাধিটি গবেষনা লব্দ বিষয়, ২০০৯-১০ সালে যুবলীগ গবেষনা করেছে শেখ হাসিনাকে নিয়ে। বিশ্ব শান্তির দর্শন একটি দলিল যা জাতিসংঘের ১৯৩ রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে, জনগণের ক্ষমতায়ন, আজ বাংলাদেশের গনতন্ত্রের প্রতীক তিনিই, গনতন্ত্রের চালিকা শক্তি, হৃদপিন্ড। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মনে করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাই হলেন জনগনের মুক্তির আলোক বর্তিকা, তিনিই বাঙ্গালীর কান্ডারী, তিনি আমাদের স্বপ্নসারথী, তাই আজকের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বলতে চায় তোমাকে বন্ধী করে, অবরুদ্ধ করেছিন গনতন্ত্র, তুমিই জনগণের ক্ষমতায়নের মুলমন্ত্র। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারাবন্দীর দিন জনগনের অধিকার হারাবার দিন, গনতন্ত্র হত্যার দিন। তুমি যখন বন্ধী, তখন মানুষ অধিকারহীন, তোমার মুক্তি, জনগনের ক্ষমতায়নের দিন। তিনি আরো বলেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে দলকে সংগঠিত করতে হবে, ঐক্য বজায় রাখতে হবে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে কর্মসূচী প্রনয়ন করতে হবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ এর পরিচালনা আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, এড. বেলাল হোসাইন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, আবুল বাসার, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম শাহীন, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা: বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড: সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোহাম্মদ ইসলাম, শ্যামল কুমার রায়, রওশন জামির রানা, এন আই আহম্মেদ সৈকত, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, ইসমাইল হোসেন, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।