বিজিবি নজরদারি শুরু করায় যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছেন কাস্টমস কর্মকর্তা ও বন্দর ব্যবহারকারীরা।বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় কার্গো শাখা অফিস, বন্দর ও কাস্টম ওয়েভিং স্কেলের সামনে বিজিবি চেয়ার বসিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে নজরদারি শুরু করে। বন্দর এলাকায় তাদের টহল দিতেও দেখা যায়।হঠাৎ করে বিজিবির বন্দরে এমন পদক্ষেপের প্রতিবাদে কাস্টমস কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা রোববার বেলা ১২টা থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও বন্দর থেকে পণ্য খালাসসহ সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।এ বিষয়ে বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, “সুগ্রিম কোর্টের রায় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এসআরও এবং বিভিন্ন সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্দেশনা বিজিবি উপেক্ষা করে বন্দর ও কাস্টমস ওয়েভিং স্কেলে বসে আমদানি পণ্য চালানের ওজন পরিমাপ শুরু করেছে।

“বিজিবি বন্দর এলাকায় আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার প্রতিবাদে রোববার দুপুর থেকে ব্যবসায়ীরা বিল অব এনট্রি দাখিল করা বন্ধ করে দিয়েছেন।” এ বিষয়ে যশোর ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির ৬০তম সভার সিদ্ধান্তের পরিপেক্ষিতে দেশের সব বন্দরে পণ্য পরিমাপের স্কেলে কাস্টমস সদ্যস্যদের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের যৌথভাবে কাজের সিদ্ধান্ত হয়।“ওই আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনাররা ছিলেন। তারা সবাই সম্মতি দিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি সদস্যরা বন্দরে কাজ করছেন।”

এ ব্যাপারে বেনাপোল শুল্ক ভবনের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী বলেন, “কাস্টমসের কাজ কাস্টমস করবে। সেক্ষেত্রে বিজিবি বন্দরে আমদানি মালের ওজনের ব্যাপারে নজরদারি করতে পারে না। তাছাড়া আমদানি-রপ্তানি মালের ক্ষেত্রে বন্দর এলাকায় বিজিবির নজরদারির এখতিয়ার নেই।” এদিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “হঠাৎ করে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় তারা বেকায়দায় পড়েছেন।“বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। পচনশীল পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত বাণিজ্য সচল হবে এমনটি আশা করছেন তিনি।