সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে এ কমিটি করা হয়। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. এনকে সিনহাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করে।বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার একে এম মাহবুবুল হক জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহী স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. এনকে সিনহাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন থাকা ওই স্কুলছাত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর চিকিৎসা চলছে ওসিসিতে। তার চিকিৎসা সেবায় কোনও গাফিলতি হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, রবিবার (১৫ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে ওসমানী মেডিক্যালের নাক-কান-গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহী নবম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই ঘটনায় মাহীকে আটক করে পুলিশ।স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল ওই শিক্ষার্থী। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন ওই স্কুলছাত্রীর নানি। রবিবার রাতে ওই স্কুলছাত্রী ছাড়া আর কেউ রোগীর সঙ্গে ছিল না। মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করে, রাতে ফাইল দেখার কথা বলে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহী ওই মেয়েটিকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। সকালে বাবা-মা হাসপাতালে আসার পর স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানায়। সোমবার সকালে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিক্যালের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। সোমবার রাতে (১৬ জুলাই) স্কুলছাত্রীর বাবা কোতোয়ালি থানায় মাহীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৬)। পরে তাকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক মোসতাইন বিল্লাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।