নওগাঁর মান্দায় গৃহবধূ নাছিমা বেগম (২৬) এর মৃত্যু নিয়েনানা গুঞ্জণের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলার ভাঁরশো গ্রামের লক্ষীর মোড় (মকবুল চেয়ারম্যানের বাড়ি) এলাকার শ্রী বাচ্চুর মাছের হ্যাঁচারি থেকে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় থানা পুলিশ ঐ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের পেটে ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে স্বামী লিটন পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিতের অপচেষ্টা চলছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঁরশো গ্রামের এক সন্তানের জনক লিটন সরদারের সাথে প্রেম করে ৬মাস আগে বিয়ে হয় এক সন্তানের জননী নাছিমার। লিটনের আগের পক্ষের স্ত্রী জান্নাতুন বেগমের তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। তারপরও নাছিমাকে বিয়ে করে ঘরে তোলে। এ ঘটনায় আগের পক্ষের স্ত্রী জান্নাতুন বেগমের সাথে স্বামী লিটন সরদারের মনোমানিল্য ঘটে। এক সময় পিতার বাড়ি চককানু গ্রামে চলে যায় জান্নাতুন।

গৃহবধূ নাছিমার শাশুড়ী মালেকা বিবি, স্বামী লিটন ও আগের পক্ষের স্ত্রী জান্নাতুনের পরিবারের চাপে ও যোগসাজস করে ৪-৫ মাসের গর্ভবর্তী নাছিমার অনাগত সন্তান নষ্টের (গর্ভপাতের) ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এক সময় শাশুড়ী মালেকা বিবি গৃহবধূ নাছিমার পেটে সজোরে লাথি মারে। পরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসে সে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার অকাল গর্ভপাত ঘটে। তারপর বেশ কয়েকদিন থেকে গৃহবধূ ভীষণ অসুস্থ ছিল। ১৫-২০দিন আগে লক্ষীর মোড় (মকবুল চেয়ারম্যানের বাড়ি) এলাকার শ্রী বাচ্চুর মাছের হ্যাঁচারির পাশে এক ঘরে আশ্রয় নেয়। এমতবস্থায় গত রোববার রাত অনুমান ৯-১০টার দিকে সেখানেই তার রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ঘটে। লাশের পেটে ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মান্দা থানার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।