‘নিউক্লিয়াস-বিএলএফ’র প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধের প্রধান সংগঠক সিরাজুল আলম খান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি তিনবার প্রাইভেট ক্লিনিকে পায়ের ব্যথার চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। গত ৭ জুলাই, ২০১৮ তারিখে তিনি আকস্মিকভাবে তাঁর মস্তিষ্কে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে নিউইয়র্কের এলমহার্ষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কম্পিউটড টমোগ্রাফি স্ক্যান অর্থাৎ সিটিস্ক্যানিং (Computed Tomography Scan, ie CT Scan)-সহ রক্ত ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নেয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর চিকিৎসকরা তাঁকে পূর্ণ বিশ্রাম ও নিয়মিত ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে যাবার আগে গত বছর ১৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে উত্তর সাইপ্রাসের নিয়ার ইস্ট ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তাঁর কোমর ও নিতম্বে (উরুসন্ধি) ঝুঁকিপূর্ণ জটিল অস্ত্রোপচার পর গত ৫ মে ২০১৮ তারিখে তিনি উত্তর সাইপ্রাসের নিয়ার ইস্ট ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে-ই ১৮ দিন ধরে ফলোআপ চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সেখানে তাঁর দুই হাঁটু ও দুই কাঁধের চিকিৎসাও করা হয়। এছাড়াও তিনি উত্তর সাইপ্রাসের নিয়ার ইস্ট ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের অর্থোপেডিক, ফিজিক্যাল মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, ইউরোলজি, কার্ডিওলজিস্ট ও গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞদের কাছে চিকিৎসা ও পরামর্শ নিয়েছেন এবং তাঁর কাঁধের চিকিৎসার জন্য তাঁকে ‘সোল্ডার রিপ্লেসমেন্ট’ করাতে হবে বলে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আগামী বছরের মধ্যে তাঁর উভয় কাঁধের অস্ত্রোপচার করার পরিকল্পনা করেছেন।

আগামী ২৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে সিরাজুল আলম খান-এর দেশে ফেরার কথা ছিলো। কিন্তু নিউইয়র্ক এলমহার্ষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো এখনই তিনি কোন প্রকার বড় ধরনের এবং দীর্ঘ আকাশবাহী বিমানযাত্রা করতে পারবেন না তাঁর চিকিৎসকরা পরবর্তী পরামর্শ না দেয়া পর্যন্ত এবং ভ্রমণ স্থগিত করার কথা বলাতে সিরাজুল আলম খান-এর দেশে ফেরা বিলম্বিত হচ্ছে। এসব কারণে-ই তিনি জুলাই মাসে দেশে ফিরছেন না এবং যুক্তরাজ্যেও ভ্রমণ করবেন না। তাঁর দেশে ফেরার পরবর্তী তারিখ ও সময়তালিকা হলো ১৫ আগস্ট, ২০১৮। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে আগামী ১৪ আগস্ট, ২০১৮ তারিখে রওনা হয়ে ১৫ আগস্ট, ২০১৮ তারিখ বুধবার ঢাকা ফিরবেন। বর্তমানে সিরাজুল আলম খান নিউইয়র্কের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতা শামসুদ্দিন আহমেদ শামীমের বাসায় অবস্থান করছেন। সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত এলমহার্ষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।

প্রতিনিধি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।