গাজীপুরে মঙ্গলবার নিখোঁজের প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পর সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর লাশ স্থানীয় একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বায়োজিদ নামের প্রতিবেশী এক যুবককে আটক করা হয়েছে। নিহতের নাম খাদিজা আক্তার ওরফে আদিকা । সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বারবৈকা শাহ আলম বাড়ি এলাকার হায়দার আলীর এক মাত্র মেয়ে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আদিকা। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের জঙ্গলে আদিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় খুঁজে পায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আদিকাকে মৃত ঘোষনা করেন।

জয়দেবপুর থানার এস আই আব্দুর রহমান জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতের নীচের ঠোট কাটা ও গলায় কালো দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে জঙ্গলে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বায়োজিদ নামের স্থানীয় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলছে।