জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই)। সকাল থেকে হুমায়ূনের পরিবার, ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনরা ভিড় জমান নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করা হচ্ছে জনপ্রিয় এ লেখককে।

দিনটি উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের খাবার বিতরণসহ দিনব্যাপী চলছে নানা আয়োজন।সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা, সঙ্গে আছেন হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমু পরিবার ও হিমু পরিবহনের সদস্যরাও।দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লেখকপতœী মেহের আফরোজ শাওন, তার দুই পুত্রসন্তান নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় হুমায়ূনভক্ত, হিমু ও রূপার চরিত্র সেজে প্রিয় লেখকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অনেকে।হিমু পরিবহনে’ চড়ে আসেন হলুদ পাঞ্জাবি পরা ‘হিমুরা’ এবং বিভিন্ন সাজে রূপাদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পায় নুহাশপল্লী। তাঁরাও এসেছেন প্রিয় লেখককে স্মরণ করতে।

কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, আমরা বিশেষ দিনে কেবল নয়, সারা বছর আমরা হুমায়ূনকে স্মরণ করি। হুমায়ূন আহমেদের নামে বাংলাবাজারে সরণি এবং বইমেলায় হুমায়ূন চত্বরও স্থাপনের প্রত্যাশা করছি। এ ছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদ ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনে দেশের বুদ্ধিজীবীদের সংঘবদ্ধভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। নুহাশপল্লীর নিজস্ব অর্থায়নে জাদুঘর স্থাপনে পারিবারিক সিদ্ধান্তে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে বলেও তিনি জানান।হুমায়ুন ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে। তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে এ দেশের সকল ভক্ত ও অনুরাগীর হৃদয়ে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।