ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার দেশটিতে সফররত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরব্যানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ইউরোপসহ গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য ইরান প্রধান হুমকিতে পরিণত হয়েছে। নেতানিয়াহু এর আগেও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করে দাবি করেন, ইরান সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা করছে।

নেতানিয়াহু এমন সময় এ দাবি করলেন যখন মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের কাজে গভীর মনোনিবেশ করেছে ইরান। ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামরিক উপদেষ্টার কাজ করছে তেহরান। ইরাক ও সিরিয়া সরকারের আনুষ্ঠানিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওই দুই দেশে সৈন্য পাঠিয়েছে ইরান। যারা ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে সন্ত্রাসবাদ ঢুকিয়ে দিয়েছিল তাদের কাছে তেহরানের এই পদক্ষেপ পছন্দ হয়নি। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় শুরু হয় আইএস জঙ্গীদের মানবতা বিরোধী অপরাধ। এর আগে ২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হয়। এরপর ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশকে ইরাক ও সিরিয়ায় ঢুকিয়ে দেয়।

মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতিকে ইসরায়েলের অনুকূলে বদলে দেয়ার লক্ষ্যে এসব কাজ করে পশ্চিমারা। কিন্তু ইরানের সামরিক উপদেষ্টাদের সহযোগিতায় ইরাক ও সিরিয়ার সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যাপক বিজয় অর্জন করলে আইএস জঙ্গীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।