সাকিব-তামিম বাংলাদেশের ভরসার প্রতীক। এ দুজনের ব্যাট কথা বললে হাসে পুরো বাংলাদেশ। গায়নায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এ দুজনের ব্যাটে ভর করেই উইন্ডিজদের ২৮০ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।

ওপেনিংয়ে নেমে তামিম ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি পুর্ণ করেন। ১৪৬ বলে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তামিম। সাকিব তিন রানের জন্য বঞ্চিত হন সেঞ্চুরি থেকে। বিশুর বলে ক্যাচ দিয়ে ৯৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল-হাসান।

তামিম ইনিংসের শুরু থেকে মাঠে থাকলেও সাকিব নামেন এক উইকেট খোয়ানোর পর। সাকিবও শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন  বলা যায়, কারণ দলীয় এক রানের মাথায় আনামুল ফিরে গেলে মাঠে আসেন সাকিব।

শুরুতেই আনামুলের উইকেট হারিয়ে টেস্ট সিরিজের মতো ভরাডুবির আভাস পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়েছেন  সাকিব-তামিম। এ দুজন উইন্ডিজ পেস আক্রমণকে রুখে দিয়েছেন বীরের মতোই।  নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বুকে।

সাকিব-তামিমের জুটিতে নতুন রেকর্ড গড়ে টাইগাররা। বাংলাদেশ ও উইন্ডিজের মধ্যকার ওয়ানডেতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ১১১ রানের। লেন্ডল সিমন্স ও মারলন স্যামুয়েলস মিলে ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে গড়েছিলেন রেকর্ডটি। যা ২০১৮ সালের উইন্ডিজ সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচেই ভেঙ্গে দিলেন সাকিব-তামিম জুটি। আজ এ দুজনের জুটিতেই ২০০ রান পার করে বাংলাদেশ।

তামিম-সাকিব শুরুটা ধীরে ধীরে করলেও ওভার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়েছেন রানের গতি। সাকিব ছয় বার বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেও তামিম পাঠান ১০ বার। সঙ্গে ছিল তিনটি দৃষ্টিনন্দন ছয়ের মার।

গায়নায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। দলীয় ১ রানের মাথায় কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার আনামুল হক বিজয়। আনামুল ফিরে গেলে মাঠে নামেন সাকিব আল-হাসান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের দুটিতেই লজ্জাজনক হারের পর এবার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গায়ানায় বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি শুরু হয়।

তবে চার ওভার চার বল খেলার পর বৃষ্টি হানা দেয় গায়নায়। ভারি বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।  বৃষ্টি থামলে খেলা আবার শুরু হয়।