লন্ডনে ফার্নবোরো এয়ারশো’তে বোয়িং ৬৭৬ ও এয়ারবাস ৪৩১টি বিমান ক্রয়ের আদেশ পেয়েছে। ২০১৬ সালের চেয়ে এবার এ বিমান মেলায় ৫০ শতাংশ বিমান বেশি বিক্রি হয়েছে। বিশ্লেষকরা এ বিমান মেলায় এধরনের বিমান বিক্রিকে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রতি আস্থার প্রতীক হিসেবেই দেখছেন। মেলায় মোট ১৪’শ বাণিজ্যিক বিমান বিক্রির আদেশ পাওয়া গেছে ১৫৪ বিলিয়ন ডলারে এবং ১৪’শ ৩২টি চুক্তি হয়েছে ২১.৯৬ বিলিয়ন ডলারের ইঞ্জিন বিক্রির। দুই বছর আগে গত বিমান মেলার চেয়ে এবার মেলায় বিমান বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৭.৫ বিলিয়ন ডলারের। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বিমান তৈরি প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও এয়ারবাস সবচেয়ে বেশি বিমান বিক্রি করেছে।

মার্কিন বিমান তৈরি প্রতিষ্ঠান বোয়িং ৬৭৬টি বিমান বিক্রি করেছে ৯২ ও ইউরোপের এয়ারবাস ৪৩১টি বিমান বিক্রি করেছে ৭০ বিলিয়ন ডলারের। ফার্নবোরো ইন্টারন্যাশনাল’এর প্রধান নির্বাহী গ্যারেথ রজার্স এধরনের বিমান বিক্রিকে বিমান শিল্পের প্রতি আস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন। এবার মেলায় ১০ ভাগ দর্শক বৃদ্ধি পায় এবং এ সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার। মেলায় ভিয়েতনামের ভিয়েতজেট এয়ারলাইন্স স্বল্পপাল্লার ৮০টি বোয়িং বিমান ক্রয়ের আদেশ দিয়েছে যার মূল্য ১২.৭ বিলিয়ন ডলার। ভারতের জেট এয়ারওয়েজ ৭৫টি বিমান ক্রয়ের আদেশ দিয়েছে এবং এর মূল্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার। লিজিং কোম্পানি জ্যাকসন স্কয়ার এভিয়েশন ৩০টি বিমান ক্রয়ের আদেশ দিয়েছে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে। হাওয়াইয়ান এয়ারলাইন্স ১০টি বোয়িং বিমান কিনছে ২.৮২ বিলিয়ন ডলারে। মালয়েশিয়ার এয়ারলাইন এয়ারএশিয়া ৩৪টি এয়ারবাস কিনছে ১০বিলিয়ন ডলারে।