নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, পায়রা বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি সবাইকে একটি বাড়ি প্রদান করা হবে। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে পায়রা বন্দর নির্মাণে আপনারা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার জন্য এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রার নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন ও পায়রা বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মাহবুবুর রহমান তালুকদার, পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মাসুমুর রহমান, পুলিশ সুপার মইনুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ হাজার ৮০০ স্কয়ার ফুটের পাঁচ তলা পায়রা বন্দর প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। এসব পরিবারের সাড়ে তিন হাজার সদস্যের মধ্যে ১৫০ জনকে কম্পিউটার, মেশন (রাজমিস্ত্রী), ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল সদস্যকে প্রশিক্ষিত করে পুর্নবাসন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পরিবারে পুনর্বাসনের জন্য ৪৯৩ একর জমিতে ১৪টি প্যাকেজের আওতায় সাড়ে তিন হাজার বাড়ি নির্মাণসহ মসজিদ ও স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।