১৫ আগষ্ট জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে আজ ১১ আগস্ট, রোজ শনিবার, সকাল ১০.০০ টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থান সংলগ্ন ১০ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এর পরিচালনায় আয়োজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা এড. জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি বলেন, বাংলাদেশ বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল, বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বাও গতিতে এগিয়ে চলছে কিন্তু বিএনপি জামায়াত বাংলাদেশের এই অভুতপূর্ব উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে এমন কোন নাশকতা ও ষড়যন্ত্র নাই যা করে নাই ভবিষ্যতে করবে আমাদের পুর্বের মত সর্তক থাকতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে বিএনপি জামায়াত। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের সকল প্রকার সুবিধা ভোগ করার পরও মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন সাংবাদ মাধ্যম গুলোর সাধীনতা নাই। সংবাদ মাধ্যমে গুলোর সাধীনতা আছেন বলেই আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ওবাযদুল কাদের এর বিরুদ্ধে আস্ফালন করছেন।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রস্টা এবং রূপকার। বাংলাদেশের ইতিহাস এবং জাতির জীবনগাঁথা যেন এক বিন্দুতে মিলিত হয়। আর এই মিলিত ¯্রােত ধারার নাম বাঙালী, বাঙালীর বিজয়। বাংলাদেশের আরেক নাম যেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ‘বাঙালী’ শব্দের অর্থহীন হয়ে যায় জাতির পিতাকে বাদ দিয়ে। জাতির পিতার অস্তীত্ব বাংলাদেশের সবুজ প্রান্তরে, নদীর কলতানে, ঝির ঝির বাতাসে, পাতার পল্লবে, আমাদের হৃদয়ের পরতে পরতে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো কেবল জাতির পিতাকে হত্যা নয়, বাঙালী জাতির অস্তীত্ব বিনাশ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে যিনি জাগরুক তাকে হত্যা করে কি নি:শেষ করা যায়? যায় না। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ‘জাতির পিতা’র স্বপ্নের বাকিটা বাস্তবায়নে বাঙালীর ত্রানকর্তা হন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি তার বিশ^ শান্তির দর্শন ‘জনগনের ক্ষমতায়ন’ এর জাগরনী মন্ত্রে বাঙালী জাতিকে আবার জাগিয়ে তোলেন, উদ্বুদ্ধ করেন ঐক্যবন্ধ করেন। বাঙালী জাতি ফিরে পায় তার আত্ম উপলব্ধি, আত্ম পরিচায়। জনগন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ এর শক্তিতে পরাভূত করে অপশাসন, স্বাধীনতা বিরোধি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এবং জনবিরোধী স্বৈরাচারদের। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে ‘অর্থনৈতিক মুক্তির’ পথে। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় আমাদের চেতনার নাম জাতির পিতা।
আমাদের অনুপ্রেরণার নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। আমাদের সাহসের নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি জননেতা আসলামুল হক এমপি, যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সহ সভাপতি মো: জাফর ইকবাল, মজিবুর রহমান বাবলু, জলিলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু, হারুন অর রশিদ ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিক বিশ^াস, সিবলী সাদিক, মামুন সরকার, শাহদাত হোসেন সেলিম, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক এ এই এম কামরুজ্জামান প্রমূখ।