মোহাম্মদ আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি উঠে যাচ্ছে সোমবার। এ দিন থেকে খেলতে পারবেন সব ধরনের ক্রিকেটে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা নেই সহসাই। এখনই জাতীয় দলে সাবেক অধিনায়কের কোনো জায়গা দেখছেন না প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।

২০১৩ বিপিএলে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় ২০১৪ সালে তিন বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ মোট ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আশরাফুলকে। তার আপিলের পর সেই শাস্তি কমে হয় ২ বছরের স্থগিতসহ ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা।তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬ সালের অগাস্টে ঘরোয়া ফেরার সুযোগ পান এই ব্যাটসম্যান। তবে স্থগিত নিষেধাজ্ঞার সময়টুকুতেও নিষিদ্ধ ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এবার মিলছে নিষেধাজ্ঞা থেকে পুরো মুক্তি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে পারবেন। বিবেচিত হতে পারবেন জাতীয় দলেও।

তবে এখনই বিবেচনার সময় দেখছেন না মিনহাজুল। প্রধান নির্বাচকের মতে, ফিটনেসের অবস্থা দেখে প্রক্রিয়াগুলো পার করলে অন্তত বছরখানেক পর আশরাফুলকে নিয়ে ভাবা যায়। সে অনেক ধরেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেই। সুতরাং ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ফরম্যাটে তাকে খেলতে হবে। ওর ফিটনেস আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য ঠিক আছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। সাসপেসশন যাওয়ার পর সব ফরম্যাটে খেলুক, তারপর এক বছর যাওয়ার পর বুঝতে পারব তার ফিটনেস কোন লেভেলে আছে।এই মুহূর্তে যদি বলতে হয়, তাহলে বলব এই মুহূর্তে দলে কোনো জায়গা নেই। আমাদের যে ফিটনেস লেভেল আছে, এইচপি থেকে শুরু করে ‘এ’ দল ও জাতীয় দলের ফিটনেসের সাথে সে অ্যাটাচড না। এই জায়গায় আসতে হলে তাকে কিছু সময় দিতে হবে। এই লেভেলটা যদি থাকে, তাহলে চিন্তা করা যাবে। সুতরাং এই মুহূর্তে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি না।নিষেধাজ্ঞা যখন কাটছে, আশরাফুল পেরিয়ে গেছেন ৩৪। তবে বয়সকে কোনো সমস্যা মনে করছেন না প্রধান নির্বাচক। তিনি চোখ রাখবেন ফর্ম ও ফিটনেসে। জাতীয় দলে এখন তুমুল প্রতিযোগিতা। মিনহাজুল তাই মনে করিয়ে দিলেন, আশরাফুলকে ফিরতে হলে করতে হবে বিশেষ কিছু।বয়স কোন বিষয় না। যদি ফিটনেস আন্তর্জাতিক মানের হয়, তাহলে যে কোন ক্রিকেটারই আসতে পারে। ফিটনেস জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পর্যায়ে আনতে হবে। আর পারফরমেন্স অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো হতে হবে। কারণ সে যে জায়গায় ব্যাট করে, সে জায়গায় অনেক ক্রিকেটার স্থায়ী হয়ে গেছে। জাতীয় দলের জন্য কোনো ক্রিকেটারকে যদি দেখা হয়, তাকে বিশেষ পারফরম্যান্স করেই আসতে হবে।