ভোলার লালমোহন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর র্তীরে চর উমেদ ইউনিয়নের চর কচুয়াখালীর অবস্থান। শত বছর আগে জেগে উঠে চরটিতে প্রায় ৩৬ বছর আগে ১৯৮০ সালে দিকে জনবসতি শুরু হলেও ১৯৯০ সালের দিকে এ চরে ঘন জনবসতি ও মানুষের সমাগমে মুখরিত হয়। ৫ টি আবাসন, ৮টি গুচ্ছ গ্রাম এবং দুই শতাধিকের ও বেশি কাচা ও পাকা ঘরবাড়িতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার মানুষের আয়ের উৎস্য মৎস্য শিকার ও কৃষি কাজ। আর কয়েকটা চরের চেয়ে ভিন্ন এ চরের মানুষের জীবন যাএা। এ চরে জনবসতি বসবাস শুরু হলে তখন তারা খাল ও নদীর পানি ফুটিয়ে পান করতো। আর তখন আসুক-বিসুক লেগেই থাকতো।

প্রায় ১০ বছর আগে এ চরে মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য সরকারিভাবে ১০ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। প্রায় ৫ বছর আগে ১০টির মধ্যে ৭ টি টিউবওয়েল বিভিন্ন সমোস্যায় সম্পূর্ণ বিকল ও ১টি আরসিনিক উঠার কারনে বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের ব্যবহার করার জন্য অবশিষ্ট থাকে দুইটি টিউবওয়েল। যার কারণে এক কলসি টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য গৃহবধূদের প্রায় প্রতিনিই ১ থেকে দুই কিলোমিটার পথ হাটতে হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে কাদা মাটির মধ্যে হেটে যেতে হয়। তখন তাদের দু:খের শেষ নেই। তার পর আবার পানির জন্য পড়ে র্দীঘ লাইন। আবার কখরো ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয় এক কলসি পানির জন্য। বিশুদ্ধ পানি আনার জন্য চরের নারী-পুরুরষর এ যেন এক চড়ম দুর্ভোগ। কিন্তু তারপরেও তাদের কোন উপায় নেই।

জীবন রক্ষার্থে এ চরের দুইটি টিউবওয়ের পানিই তাদের একমাএ ভরসা। আধুনিক যুগে বাস করেও তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে মান্দাতার আমলের মতই। এ অবস্থায় চর কচুয়াখালীর বাসির অভিযোগ, এ সংকট র্দীঘ ৫ বছর ধড়ে চলে আসলেও জন প্রতিনিধি কিংবা সরকারের দপ্তরের কোন কর্মকর্তারা তাদের খোজ খবর নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। স্থানীয় গৃহবধূ রহিমা, শেফালী, শেফা, শিরিন, হেপি, নাছিমাসহ একাধিক গৃহবধূরা জানান, প্রতিদিন এই বর্ষার মধ্যে কাদা ও পানির মধ্যে এক কলসি পানির লাইগা ১ থেইকা ২ মাইল পথ হাডন লাগে আমাগো। আইজ পর্যন্ত কোন চেয়ারম্যান, কিবা সরকার আমাগো খোজ নেয় নাই। স্থানীয় রফিজল, নিরব, কামাল, রহিম, মোজাফরসহ কয়েকজন জানান, ইউসুফ মিয়া চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত ১০ বছরে এই এলাকায় মাএ দুইবার আইছেন। এর পর আর তিনি আমাগো কোন খোজ খবর নেননাই। তার কাছে গেলে আমাগো লগে তিনি দেহাও করেননা।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান মো: আবু ইউসুফ লালমোহন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর র্তীরে চর উমেদ ইউনিয়নের চর কচুয়াখালীর থেকে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে ওই ইউপি চেয়ারম্যান কখনো তাদের খোজ-খবর নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এব্যাপারে চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবু ইউসুফের সাথে টিউবওয়েলর বিষয় কথা বলতে চাননি। পরে তিনি জানান, চরের অনেক টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে আছে। যদি চর কচুয়াখালীতে টিউবওয়েলর বেশি প্রয়োজন হয় তবে দেখবো দেওয়া যায় কিনা। এব্যাপারে অচিরেই চর কচুয়াখালী সাধারণ মানুষের টিউবওয়েলের সমোস্য দুর করার আশ্বাস দিলেন লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামছুল আরিফ।

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন, ভোলা