দেশের যে কোনো অপারেটরে সর্বনিম্ন কলরেট প্রতি মিনিট সর্বোচ্চ ২ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এই রেট চালু করতে সবগুলো মোবাইল টেলিফোন অপারেটরকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন কমিশন (বিটিআরসি)।

সোমবার অপারেটরগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে বিটিআরসি এই নির্দেশনা দেয়। দেশের সব অপারেটরকে ১৪ অগাস্ট প্রথম প্রহর, অর্থাৎ সোমবার রাত ১২টা ১টা মিনিট থেকেই নতুন ট্যারিফ প্ল্যান কার্যকর করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।

এবিষয়ে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, অপারেটরগুলোর ব্যবসার পরিধি বেড়েছে, স্বাভাবিক কারণে ব্যবসাও বেড়েছে। গ্রাহক এবং অপারেটরগুলোর মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতেই এই উদ্যোগ। এখন থেকে আর মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে অফনেট ও অননেট সুবিধা থাকছে না। কলরেটের নতুন সীমা সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা। আর সর্বোচ্চ সীমা ২ টাকা। ১৪ তারিখ থেকে নতুন কলরেট কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

নতুন ট্যারিফ প্ল্যানে অফ-নেট কলে ইন্টারকানেকশন চার্জ ১৪ পয়সা (আইসিএক্স শূন্য দশমিক শূন্য ৪ পয়সা এবং টার্মেনেটিং অপারেটর ১০ পয়সা প্রতি মিনিট) করা হয়েছে। এতদিন একই অপারেটরে (অন-নেট) ফোন কলের জন্য গ্রাহকদের প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা এবং অন্য অপারেটরে (অফ-নেট) ৬০ পয়সা হারে ট্যারিফ প্রযোজ্য হত। সর্বোচ্চ ট্যারিফ ছিল ২ টাকা। এই নিয়ম চলছিল গত সাত বছর ধরে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে অন-নেট, অফ-নেটের ব্যবধান আর থাকল না। গ্রাহক যে অপারেটরেই কথা বলুক না কেন, প্রতি মিনিটে তার খরচ হবে প্যাকেজ, সময় আর ট্যারিফ প্ল্যান ভেদে ৪৫ পয়সা থেকে ২ টাকার মধ্যে। সেই সঙ্গে আগের মতই ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক প্রযোজ্য হবে।