সরকারি চাকরিতে কোটা তুলে দিয়ে মেধাকে প্রাধান্য দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছে কোটা পর্যালোচনায় গঠিত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে উচ্চ আদালতের মতামত চাওয়া হবে। আজ সোমবার মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান। কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে এ ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় পরপর তিন দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিলে অচলাবস্থা দেখা দেয়। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বানে এ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ওই ঘোষণা দেন। পরে গত জুলাইতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়। ওই কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটি গঠনের এক মাসের বেশি সময় পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানালেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোটা নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আমরা মেরিটকে (মেধা) প্রাধান্য দিয়ে অলমোস্ট (প্রায়) কোটা উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ করবো। ‘তবে কোর্টের একটা রায় রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। যদি খালি থাকে তবে খালি রাখতে হবে। এটার ব্যাপারে কোর্টের মতামত চাইবো, কোর্ট যদি এটাকেও উঠিয়ে দেয় তবে কোটা থাকবে না।’ তিনি বলেন, আর কোর্ট যদি রায় দেয়- ওই অংশটুকু সংরক্ষিত রাখতে হবে তবে ওই অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এটা হলো প্রাথমিক প্রপজিশন।