ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতারা আবারও ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শনে এসে এ অভিযোগ করেন তিনি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে মোটামুটি স্বস্তিদায়ক নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটা শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছে। এই শান্তিময় পরিবেশটাকে ভয়ঙ্কর রূপ দেওয়ার জন্য বিএনপি ও তাদের দোসররা উঠেপড়ে লেগেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন,১/১১ এর মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্তটা কিন্তু বিএনপি করছে। মিডিয়ার একটি অংশ তাদের সহযোগিতা করছে। ১/১১ এর কুশীলবদের সঙ্গে মিডিয়ার একটি অংশ ছিল সহযোগী। এখনও একই ষড়যন্ত্র সেই বিএনপিই করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ আমাদের সরকারের ওপর খুশি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আমাদের উন্নয়ন অর্জনে জনগণ খুশি। আমরা জানি জনগণ উন্নয়নের দিকে রায় দেবে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবারও রায় দেবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি বিএনপি ও তাদের দোসররা হুমকি সৃষ্টি করছে।নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি থাকার কোনও সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পার্লামেন্টে তাদের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। যখন আসার সুযোগ ছিল তখনও তারা আসেনি। তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ পর্যন্ত অফার করা হয়েছিল, কিন্তু তারা আসেনি। এবার তারা পার্লামেন্টে উপস্থিত নেই। কাজেই এবার তাদের ডাকতে হবে এমন কোনও চিন্তা নেই। টেকনোক্রেট দল থেকে কেন নেবো? বাইরে থেকেও তো নেওয়া যেতে পারে।

সরকার যে পদ্ধতিতে নির্বাচনে যেতে চাচ্ছে সেই পদ্ধতি বহাল থাকলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলেছে, এক্ষেত্রে রাজনীতির ভবিষ্যত কী- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, পদ্ধতিটা আমাদের সংবিধানের। পদ্ধতিটা বাংলাদেশের সংবিধানই নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচনটা কীভাবে হবে। আর সংবিধানের এই দায়িত্বটা থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়ে গেছে। ইলেকশন শিডিউল ঘোষণার পর পরই লেভেল প্লেইং ফিল্ড কীভাবে হবে সেটাও নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যাবে। আর ভারি বর্ষণ না হলে এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আগের চেয়ে স্বস্তিদায়ক হবে বলেও আশাবাদ জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।অনেক চালক হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স দিয়ে ভারী যানবাহন চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, হঠাৎ করে সব পরিবর্তন করা যাবে না, তাই আপাতত মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা হবে।