আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোলার খামারিরা। গত বছর ব্যবসা ভালো হওয়ায় এবার আরো বেশি গরু নিয়ে মোটাতাজা করণে নেমেছে তারা। তবে বিদেশী গরু না আসলে গত বছরের চেয়ে দিনগুন লাভ হবে বলে আশা করছেন খামারিরা। এদিকে ভোলায় খামারিদের সংখ্যা বাড়ানো ও তাদের স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষন ও তদারকির কাজ করছে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। অন্যদিকে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করণ করলে আইনের আলতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে বলে জানান ভোলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত ভোলার খামারিরা। খামারিদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল-ভুষি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করণ করছে তারা। দেশিয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই। দেশিয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ভাবে গরু মোটাতাজা করণ গরুর চাহিদা বাজারে বেশি ও আর্থিক লাভজনক হওয়ায় জেলায় এ বছর দেশী পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এতে করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে।
এব্যাপারে গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো: জাকির হোসেন মহিন জানান, ভোলা জেলায় খামারিদের সংখ্যা বাড়াতে খামারিদের ফ্রি প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা ও সল্প সূদে ঋণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করছে বলে জানান বেসরকারি সংস্থার এ কর্মকর্তা।
ভোলা জেলার সাত উপজেলায় এ বছর কোরবানির জন্য ১ লাখ ১৩ হাজার পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। যারমধ্যে ৮১ হাজার ৮০০ টি গরু, ১ হাজার ৫২৫ টি মহিষ, ২৯ হাজার ৬৪৬ টি ছাগল ও ২৯ টি ভেড়া। এদের মধ্যে ভোলা সদর ১৬ হাজার ৩৩০ টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। যারমধ্যে ১১ হাজার ৮০০ টি গরু, ২২০ টি মহিষ ও ৪ হাজার ২৮০ টি ছাগল কোরবান দেওয়া হবে।
এব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. দীনেশ চন্দ্র মজুমদার জানান, কোরবানিকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে খামারিরা। তাদের সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্র্তারা মাঠে কাজ করছে। তবে কেউ যদি অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করণ করে তাদের আইনের আলতায় এনে জেল-জরিমানা করা হবে বলে জানান তিনি।

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন
ভোলা প্রতিনিধি