পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৪ মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বাবা আব্দুল কাদের (৩৫)। শনিবার সকাল আটটা থেকে বেলা এগারোটার মধ্যে কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় আব্দুল কাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ঈশ্বরদী ইসলামিয়া সাইন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ঈশ্বরদীর শেরশাহ রোডের কাঁঠালতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। শনিবার সকালে মেয়ে কারিমা আক্তার (১৪ মাস) কে নিয়ে কলেজে যান তিনি। কয়েকজন শিক্ষক কলেজের আসার পর অধ্যক্ষ আব্দুল কাদেরের লেখা একটি চিরকুট দেখে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে কলেজের পানির ড্রামের ভেতর থেকে শিশুকন্যা কারিমা’র মরদেহ উদ্ধার করে। আর কলেজ ভবনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় বাবা কাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশের ধারণা, মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বাবা নিজে । কিন্তু কি কারণে এ ঘটনা, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া চিরকুটে আব্দুল কাদের লিখেছেন তার মেয়েকে নিজ হাতে হত্যার কথা। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেই কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করছে। আর শিশুর পিতা কাদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। তিনি সুস্থ্য হলে জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু পরিস্কার জানা যাবে বলে মনে করেন তিনি।