অবশেষে ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা সাজ্জাত আলম শেখ ওরফে আজাদ শেখ হত্যার ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। মামলায় ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম আজ শনিবার সকালে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় হত্যা মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলু এই মামলার বাদী।’

ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের সদস্য আজাদ শেখকে গুলি ও জবাই করে হত্যা করা হয় গত ৩১ জুলাই দুপুরে। এরপর তাঁর বুক ফেঁড়ে কলিজা বের করে নিয়ে যায় ঘাতকরা। ২ আগস্ট মামলার এজাহার দায়ের করেন আজাদের স্ত্রী। কিন্তু নানা কারণে পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেনি। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন আজাদের পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে এক মাস পর মামলাটি নথিভুক্ত করল পুলিশ।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল পাঠান (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মন্তু বাবু (৩৫), যুবলীগের কর্মী সেলিম উদ্দিন ওরফে চৌরা সেলিম (৩৫), শেখ ফরিদ (৩০), তিন সহোদর ভাই ফরহাদ (৩০), ফারুক (২৭) ও মিলন (২৪), দুই সহোদর ভাই নুরুল আমিন (২৮) ও আল-আমিন (২৪), রাজীব (২৩), তিন সহোদর ভাই লিটন (২৫), রকি (২২) ও মেহেদী (২০), রাজিব (৩২), রানা ওরফে কদু রানা (৩০), সাগর ওরফে কলা সাগর (২২), স্বপন (৩০), তিন সহোদর ভাই হাকিম (২৫), ছাত্তার (২৩) ও আব্দুল কাদির(৩৭), রতন (২৪), সাইফুর (৩৩), শ্রাবণ (২১) ও ফজলু (২৫)।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, আজাদ শেখ প্রথমে মোহিত উর রহমান শান্ত পক্ষে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি আওয়ামী লীগের অন্য একটি পক্ষে যোগ দেন। এর জের ধরেই প্রতিপক্ষরা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। গত ৩১ জুলাই দুপুরে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আজাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আজাদ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালান। কিন্তু তাঁকে নাজির বাড়ি মসজিদের কাছে গুলি করা হয়। মিলনের করা দুটি গুলি তাঁর পায়ে লাগে। সেখান থেকে আজাদকে তুলে জুবলি কোয়ার্টার বিহারি ক্যাম্পের উল্টোদিকের গলিতে নিয়ে যায়। সেখানেই আজাদকে গলাকেটে হত্যা ও পরে বুক ফেঁড়ে কলিজা বের করে নেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।