ভোলায় দৌলতখানের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাটের পন্টুনের সামনে চালকের অসতর্কতায় অর্ধ নিমজ্জিত ঢাকাগামী এমভি ফারহান-১ লঞ্চটি উদ্ধারে ১৩দিন ধরে মালিকপক্ষের কোনো চেষ্টা বা অভিযান নেই। ফলে ওই ঘাটে ভিড়তে পাড়ছে না ওই রুটের আরও ৬টি লঞ্চ। এতে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ওঠেছে। অন্যদিকে নিমজ্জিত লঞ্চ উদ্ধারে মালিকপক্ষের (ফারহান নেভিগেশন কোম্পানি) গড়িমসি ও উদ্ধারকারী জাহাজের সাহায্য না চাওয়ার বিষয় নিয়ে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
লঞ্চের কাগজপত্র, ফিটনেসসহ বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমন প্রশ্ন তোলেন খোদ ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক ও দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন।

জানা গেছে, ২৪ আগস্ট ঢাকা সদরঘাট থেকে সহব্রারাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা লঞ্চটি রাতেই যাত্রী নামিয়ে দেয়ার পর দৌলতখান ঘাটে অর্ধনিমজ্জিত হয়। এটি আজ বুধবার পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়নি। এমনকি বিআইডব্লিউটিএর কোনো উদ্ধারকারী জাহাজের জন্য আবেদন করা হয়নি। ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঈদ মৌসুম সময়ে যখন যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ ওই সময় লঞ্চটি অর্ধ নিমজ্জিত হলেও এটি উদ্ধারে ওই লঞ্চ মালিকপক্ষ কোনো প্রকার সাহায্য চাননি। ডুবে যাওয়ার ঘটনা, এমনকি প্রশাসনকে জানানো পর্যন্ত হয়নি।

ঘটনা জানিয়ে এটি উদ্ধারে বিআইডব্লিটিএর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান ভোলার জেলা প্রশাসক। লঞ্চটি অর্ধনিমজ্জিত হওয়ার খবরে বিআইডব্লিটিএর যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলু রহমান একদিন পরে ওই ঘাটে এসে পরির্দশন করে গেছেন। ওই সময় তিনি এটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে লঞ্চ ম্যানেজার ফারুক খানকে নির্দেশ দেন বলে জানান।