দেশে প্রথমবারের মত ডিজিটাল পদ্বতিতে ডায়াবেটিস রোগীর তথ্য ও উপাত্ত নিবন্ধন শুরু হয়েছে। শনিবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।নিবন্ধিত তথ্য উপাত্ত ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যেমে ডায়াবেটিসের সঙ্গে দিনযাপন করা রোগীর জন্য খুব সহজেই গুনগত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে। একইসঙ্গে ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে আরও মানুষ সচেতন হবে।নভো নরডিস্কের সহযোগীতায় প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) ও দেশজুড়ে থাকা তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশে ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপের সূচনা হল। আমি বিশ্বাস করি, এ উদ্যোগটি মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। আমি বাডাস ও নভো নরডিস্ককে বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিবন্ধনের ফলে রোগীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হবে। এতে সমস্যাগুলোর পেছনে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া যাবে। যা টেকসই উন্নয়ণ লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখবে ও যে কোনো ধরণের ঝুঁকি মোকাবেলায় সহযোগিতা করবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসাবে বক্তব্য দেন বাডাসের সভাপতি ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক আজাদ খান ও নভো নরডিস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনান্দ শেঠি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিল কাপুর, বাডাসের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক জাফর আহমেদ লতিফ ও নভো নরডিস্কের বিপণন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ সাইফুল প্রমুখ।প্রসঙ্গত, এরইমধ্যে এসডিজি অর্জনের বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে জাতিসংঘ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের তালিকায় ডায়াবেটিসকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগের কারণে অকাল মৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এখন প্রায় ৬.৯ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগীর বসবাস। ২০৪৫ সাল নাগাদ এটি ১৩.৭ মিলিয়ন হবে যা বিশ্বব্যাপী নবম অবস্থান। তাই সচেনতন হওয়ার এখনই সময়। বাংলাদেশে শুধু ২০১৭ সালেই ৯৭,৬৪১ জনের মৃত্যুর কারণ ডায়াবেটিস।উল্লেখ্য, ডিজিটাল পদ্বতিতে ডায়াবেটিস রোগীর তথ্য ও উপাত্ত নিবন্ধনের মত যুগান্তকারী কাজটি সম্পাদন করতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বাডাসের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও নভো নরডিস্কের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রেডেরিক কিয়ার মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।