মাঠে ২৫ হাজার দর্শকের উল্লাস আর করতালি সঙ্গী হিসাবে পেয়েও পরাজয় এড়াতে পারলো না স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে লাল-সবুজের দলের খেলা শুরুর চিত্রটা দেখে মনে হয়নি জামাল ভূঁইয়ারা সাফ ফুটবল থেকে বিদায় নিতে পারে। বাংলাদেশের পরাজয়ে প্রমাণ হলো প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মাঝে যোজন ফারাক।

বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে সাফ সুজুকি কাপের সেমিফাইনালে উঠলো নেপাল আর বাংলাদেশ বিদায় নিলো টুর্নামেন্ট থেকে। এই হারের ফলে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তান সমান ৬ পয়েন্ট করে অর্জন করে। স্বপক্ষে গোল গড়ের পার্থক্যে বাংলাদেশ পিছিয়ে পরায় সেমিফাইনালে উঠতে পারলো না। এবার তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। এর আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজের দল। আর ২০০৯ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিল। এবার গ্রুপ পর্বে শেষ বাংলাদেশের গর্জন।

তবে গোলরক্ষকের ভুলে খেলার ৩৩ মিনিটে গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ফ্রি কিক থেকে গোল করেছেন নেপলের বিমল ঘারতি। বিমলের নেয়া সরাসরি কিক গ্রিপে থাকলেও সেই বল ধরতে পারেননি সর্বশেষ মৌসুমে ঢাকা আবাহনীতে খেলা শহীদুল আলম সোহেল। তার হাত গলে বল জালে ঢুকে যায়। এই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় নেপাল। আগের দুই ম্যাচেই প্রশ্ন উঠেছে একাদশ নিয়ে। এশিয়াডে দুর্দান্ত খেলা আশরাফুল ইসালাম রানাকে রেখে শহীদুল আলমকে প্রথম দুই ম্যাচেই একাদশে রাখেন বাংলাদেশ কোচ। যার খামখেয়ালিতে নীলফামারীতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও হারে বাংলাদেশ।

শনিবার সন্ধ্যায় কি দুর্দান্ত শুরুই না ছিল বাংলাদেশের। টানা দুই ম্যাচ জেতায় জেমি ডে’র দল যে উজ্জ্বীবিত সেটি ফুটে উঠছিল প্রথম থেকেই। দর্শক গ্যালারিতে উঠছিল সমুদ্রের গর্জন। কিন্তু সেই গর্জন থামিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কবরের নিরবতা নামিয়ে এনেছেন গোলরক্ষক সোহেল। ম্যাচ চলাকালেই যাকে পরিবর্তন করার জন্য দর্শকর গ্যালারি থেকে কোচের উদ্দেশে রব উঠল।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে যার পরনাই লড়েও গোল পরিশোধ করা তো দূরের কথা, উল্টো খেলার অন্তিম লগ্নে নেপালের কাছে দ্বিতীয় গোল খেয়ে নিষ্ঠুর নিয়তি বরণ করে বাংলাদেশ। খেলার শেষ মিনিটে (৯০) মিনিটে নেপালের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন নবযুগ শ্রেষ্ঠা।