জিপিও এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে বিপুল পরিমান ইথিয়োপিয়ান মাদক ‘খাত’ আটক করা হয়েছে। ১৭৪০ কেজি ওজনের এই খাত পাঠানো হয়েছে ১০৪ টি পার্সেলে করে। সিআইডি এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পৃথক অভিযান চালিয়ে ইথিয়োপিয়ান এই মাদকের চালান আটক করে।

সিআইডি’র সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াড ইথিয়োপিয়া থেকে আমদানি করা ১৬শ’ কেজি মাদক ‘খাত’ আটক করে। সিআইডি জানায়, জিপিও বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে ২০ জনের নামে আসা এই মাদক আটক করা হয়। বিপুল পরিমান এই মাদক আনা হয়েছে ৯৬টি কার্টনে করে।

শাহজালালে ১৪০ কেজি:
এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের অভ্যন্তরে অবস্থিত “ফরেইন পোস্ট অফিস” এর মাধ্যমে ১৪০ কেজি ইথোপিয়ান গাঁজা বা খাত আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউসের ঢাকার একটি দল এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) এর সহযোগিতায় গত রবিবার ভারত থেকে আগত জেট এয়ারওয়েজ এর একটি ফ্লাইট থেকে ৮টি সন্দেহজনক কার্টন আটক করে। পরে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে কার্টনগুলো খোলা হলে এর ভিতরে “গ্রীন টি” এর মত দেখতে পন্যগুলো আটক করা হয়। যা মূলত ইথোপিয়ান গাঁজা বা খাত। এর ওজন ১৪০ কেজি। কাস্টমস জানায়, এটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে তরল করে সেবন করা হয়। সেবনের পর মানবদেহে এক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করে। যাতে অনেকটা ইয়াবার মতো প্রতিক্রিয়া হয়। এটি বাংলাদেশে আগত নতুন এক ধরনের মাদক।

এর রপ্তানিকারক হলেন ইথিওপিয়ার জিয়াদ মুহাম্মদ ইউসুফ, আদ্দিস আবাবা। বাংলাদেশে এর আমদানিকারক হলো এশা এন্টারপ্রাইজ। ঢাকার তুরাগ এলাকায় অফিস।

উল্লেখ্য, বিগত ৩১ আগস্ট ও ৮ সেপ্টেম্বর একই ধরনের দুটি পন্যচালান আটক করা হয়েছিল, যার ওজন ছিল যথাক্রমে ৪৬০ কেজি ও ১৬০ কেজি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান পন্য চালানটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।