গাজীপুর মহানগর পুলিশের নবনিযুক্ত কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য মাদক হলো সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমি নগরবাসীকে আশ^স্ত করতে চাই মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে জিরো টলারেন্স নীতি আছে সেটা এক’শ ভাগ এখানে অনুসরন করা হবে। এখানে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি মাদকের সঙ্গে যদি কোন পুলিশ সদস্যও জড়িত থাকে তারাও কোন ভাবে ছাড় পবেনা। এসবক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সনীতি অনুসরন করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নলজানীস্থ তার সদর দপ্তরের সভা কক্ষে গাজীপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওই ঘোষনা দেন।

তিনি বলেন, আগামি ১৬ সেপ্টেম্বর নতুন গঠিত আটটি থানা এলাকা নিয়ে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। ওই দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিএমপি’র কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন। এরই মধ্যে জিএমপিতে ১ হাজার ১৫২ জনের লোকবলও নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের পদায়ন, থানার জন্য ভবন ভাড়াসহ সকল প্রস্তুতি স¤পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে সিটি কর্পোশেনের আওতাভূক্ত আটটি থানার আয়তন নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মাদকের পরের সমস্যাটি হলো যানজট। সকলের সহযোগিতায় যানজট নিরসন করব। বিভিন্ন স্থানের অবৈধ পার্কিং, ফুটপথ দখলমুক্ত করবো। মহাসড়কে কাগজ চেকিং করার নামে পুলিশি হয়রানী এবং চাঁদাবাজী বন্ধে আমি বদ্ধপরিকর।

তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জঙ্গীবাদ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে সুদৃঢ়। এক্ষেত্রেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে জিরো টলারেন্স টু টেরোরিজম বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করব। গাজীপুর মহানগরে সন্ত্রাস ও জঙ্গীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রেও আমার অবস্থান হবে জিরো নীতি পালন করব।

পুলিশ কমিনার বলেন, গাজীপুরে আমি এখানে পুলিশের হারানো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট থাকব। সরকার পুলিশের ইমেজ বিল্ডআপ করার জন্য ব্যাপকভাবে জোর দিয়েছেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার, সাবেক সভাপতি নাসির আহমেদ, মুকুল কুমার মল্লিক, মাজহারুল ইসলাম মাসুম, মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, আবুল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মঞ্জুর হোসেন মিলন প্রমূখ।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার কেএম আরিফুর রহমান, শরিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠণের প্রায় চার বছর পর ২০১৭ সালের অক্টোবরে গঠিত হয় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এর প্রায় ১০ মাস পরে ২০১৮সালের ৯সেপ্টেম্বর জিএমপি লোগো চূড়ান্ত করা হয়েছে। জিএমপি হলো দেশের সপ্তম মেট্রোপলিটন পুলিশ। আগামি ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিএমপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।