গত পাঁচ বছরে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির বিবেচনায় শীর্ষস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। দ্রুত সম্পদ বৃদ্ধির তালিকায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ধনীরা।সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথএক্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,ভারত ও হংকংয়েও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সম্পদশালী রয়েছে। দ্রুত বাড়ছে এসব ধনীর সম্পদের পরিমাণ। তবে বাংলাদেশি ধনীদের সম্পদ বাড়ছে তার চেয়েও দ্রুতগতিতে।

ওয়েলথএক্স নিজস্ব ওয়েলথ অ্যান্ড ইনভেস্টেবল অ্যাসেটস মডেল’ ব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ মডেলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোট সম্পদের আনুমানিক তথ্য পাওয়া যায়। বৈশ্বিকভাবে সম্পদের এ ধরনের বিশ্লেষণ ছাড়াও শীর্ষ ৭৫টি অর্থনীতির দেশে সম্পদের ব্যাপ্তি ও প্রবৃদ্ধি ওয়েলথএক্সের গবেষণার বিষয়বস্তু।গত সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধনকুবেরদের সামগ্রিক সম্পদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ওয়েলথএক্সের ওয়ার্ল্ড আলট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ধনকুবেরদের সামগ্রিক সম্পদের বার্ষিক এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর ধনীদের সম্পদ প্রবৃদ্ধির এ হারের সুবাদে ওয়েলথএক্সের তৈরি তালিকায় শীর্ষ দশের প্রথম স্থানটিই বাংলাদেশের।

ওয়েলথএক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধনীদের সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধি বিবেচনায় বাংলাদেশের পরই আছে চীন। দেশটিতে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ।তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ভিয়েতনামের ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে থাকা প্রতিবেশী ভারতের ধনীদের সম্পদ স্ফীত হচ্ছে বার্ষিক ১০ দশমিক ৭ শতাংশ হারে।ধনীদের দ্রুত সম্পদ বৃদ্ধির তালিকায় ভারতের পরই রয়েছে হংকং। এখানকার ধনীদের সম্পদ বাড়ছে বার্ষিক ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। পরের স্থানগুলোয় থাকা আয়ারল্যান্ডের ধনীদের বার্ষিক সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ১, ইসরাইলের ৮ দশমিক ৬, পাকিস্তানের ৮ দশমিক ৪ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৮ দশমিক ১ শতাংশ।