ভোলায় এক চতুর্থ শ্রেনীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীকে (০৯) ধর্ষনের চেস্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার চাওয়ায় মামলার ভয়ে দেখায় ধর্ষনের চেষ্টাকারীর পরিবার। ছাত্রীর বাবা গিয়াস উদ্দিন (৩৫) অভিযোগ করে বলেন, আমরা নদী ভাঙনের পর থেকে বোরহানউদ্দিনের হাসান নগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বেড়ি বাঁধ এলাকায় কোন রকমের একটি ঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি।

বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে আমার স্কুল পড়–য়া মেয়ে ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধোয়ার জন্য নদীতে যায়। ওই এসময় একই এলাকার বিল্লাহ (৩০) আমার মেয়ের মুখ চেপে ধরে নদীর পারে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষনের জন্য তার গায়ের কাপুর ছিঁড়ে ফেলে তার উপর ঝাঁপিয়ে পরে। এসময় তার ডাকচিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় বিল্লাল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী বিল্লালকে ধরে গণদোলায় দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাইলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ছাত্রীর বাবা আরো জানান, এঘটনার পর আমরা এলাকাবাসী ও ইউনিয়নের মেম্বারকে জানালে বিল্লাল ও তার পরিবার আমাদেরকে বলে সে যা করেছে তার জন্য এলাকার মানুষ আছে তারা বিচার করবে। তাকে কেনো গণধোলাই দিছ আমারা তোদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার চেষ্টার মামলা করবো। তাই আমরা মামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় রাত কাটাই।

অভিযুক্ত বিল্লালকে পাওয়া যায়নি তবে তার বোন জরিনা বলেন, ওই মেয়ের চরিত্র খারাপ। ওইদিন সকালে মেয়ে আমার ভাইকে নদীর পারে ডেকে নিয়েছে। তারপর এলাকার মানুষ দিয়ে তাকে অনেক মারধোর করেছে। তার গোপন অঙ্গে ইট বেধেছে। ভাই এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার (ওসি) জানান, বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় ভোলা কোর্টে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ছাত্রীর বাবা জানান।