বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে প্রতিষ্ঠিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন তিনি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার ই.ডি.সি.এফ এর অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে এই বিশেষায়িত হাসপাতাল। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরীয় সরকারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড থেকে সহজ শর্তে প্রায় ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে ৪০ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রথম ১৫ বছর ঋণের কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে না। পরবর্তী ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কোরিয়ার সরকার প্রথমে ৭শ’ শয্যা সরবরাহ করতে চাইলে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে আরও ৩শ’ শয্যা যোগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৩ তলা বিশিষ্ট এ ভবনের ১১ তলা কোরিয়ার সরকারের অর্থায়নে এবং বাকি দুই তলা বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে। হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৩০ মাস (২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত)।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের পেছনে নিজস্ব ৩ দশমিক ৮২ একর জমিতে দেশের প্রথম এই সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক এই হাসপাতালে মোট ১১টি সেন্টার থাকবে। সেগুলো হচ্ছে, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাসকুলার সেন্টার, স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি, এক্সিডেন্টাল ইর্মাজেন্সি, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, অনকোলজি, রেসপিরেটরি মেডিসিন। এসব সেন্টারে সংশ্লিষ্ট রোগের যাবতীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।