গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ১/১১-এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা প্রায়ই আমাকে ১/১১ সৃষ্টির কুশীলব বলে থাকেন। অথচ ১/১১ এর কারণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে আওয়ামী লীগ। যেদিন ১/১১-এর প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়, সেদিন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল, চলেন বঙ্গভবনের শপথ অনুষ্ঠানে যাই।

তিনি বলেন, ৫০ বছরের বেশি সময় হলো রাজনীতি করি। আমি কখনো কোনো ষড়যন্ত্র করিনি, ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আমি ছিলাম না। যা বলি ও করি, তা প্রকাশ্যেই। বুধবার আমাদেরসময় এর সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। বর্তমান সরকারকে অনির্বাচিত হিসেবে আখ্যা দিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের অনির্বাচিত বললে আমার ওপর ভীষণ চটে যান। অথচ আমি একাই তাদের অনির্বাচিত বলি না। দেশে-বিদেশে সবাই এ সরকারকে অনির্বাচিত বলে। কারণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ছিল, দেশের জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক মহলেও এ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

দেশের এই সংবিধানপ্রণেতা দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেন, আগামীতে দেশের রাজনীতিতে জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ হবে। মানুষের ভাবনার মধ্যে ঐক্য হয়ে আছে। জনগণ জেগে উঠেছে, তাদের ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে না। শিগগিরই দেখবেন দেশে পরিবর্তনের পালা শুরু হয়ে যাবে।

বর্তমান সরকারকে দৃশ্যত যারা সমর্থন করেন তারাও আজ উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেন ড. কামাল। তিনি বলেন, কতিপয় দুর্নীতিবাজ ও মিথ্যাবাদী কতদিন দেশের ১৬ কোটি জনগণকে আটকিয়ে রাখবে? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি নিজেই আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ডাকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশে জামায়াত, ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক শক্তি ছাড়া সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ আইনজীবী।