নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা ও মেনিখালী নদীর দখল করে ভরাট ও নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। রোববার দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশে দেয়।আদালতে রিটকারীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান খোকন।মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রুল জারি ও নদী দখল, ভরাট ও নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকা জরিপ করে দখলকারীদের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে ওই কমিটিকে।নদী দখল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ভরাট করা মাটি ও স্থাপনা অপসারণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।এছাড়াও সিএস-আরএস রেকর্ড অনুযায়ী নদী দুটিকে সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।পরিবেশ ও পানিসম্পদ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও সোনারগাঁওয়ের ভূমি কর্মকর্তাসহ ১২ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর বিধান অনুযায়ী নদীর জায়গা দখল, ভরাট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।কিন্তু সেসব আইন অমান্য করে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা নদীতে ‘আমান ইকোনোমিক জোন’ এবং মেনিখালী নদীতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভরাট ও অবৈধ দখল অব্যাহত রেখেছে।আইনে এই ধরনের দখলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সুস্পষ্ট বিধান থাকার পরও স্থানীয় প্রশাসন নীরব থাকায় নদী দখল অব্যাহত আছে।বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে আইনজীবী রিপন বাড়ৈ হাইকোর্টে রিট আবেদন দুটি করেন।