ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বাদশা খন্দকার (৫০) নামের এক চায়ের দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলার পায়রাডাঙ্গা-চারাতলা গ্রামের মাঠের একটি ধান ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বাদশা হরিণাকুন্ডু উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত. তাজু খন্দকারের ছেলে। গতকাল বিকেলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় বাদশা। রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি সে। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এদিকে, নিহতের স্ত্রী হাজেরা খাতুন জানান, তার স¦ামী বাদশার পাশের বাড়ির মুকুলের মটর সাইকেল যোগে চারা তলার বাজারে গিয়ে চা-পান করে তার ফুফাত ভাই পায়রাডাঙ্গার তমছেরের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে মুকুলকে বিদায় জানায়। তবে এলাকাবাসী বলছেন, শ্বশুর বাড়ির ফারায়েজের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বাদশার সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও তমছেরের সাথে বিস্তর বাকবিতন্ড হয়েছিলো গত ৩দিন পুর্বে। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, নিহত ব্যক্তির মাথার মাঝখানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেই সঙ্গে পলিথিন দিয়ে মাথার অংশ ঢাকা। ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোনো স্থান থেকে হত্যার পর লাশটি ফেলে গেছে। নিহতের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছেন। তবে হত্যার কারণ জানাতে পারেননি ওসি। ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদি জানান, সকালে গ্রামের ধানের মাঠে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাদের খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।