মরণ নেশা ইয়াবা পাচার ঠেকাতে কক্সবাজারের শীর্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের ৫৪ জনের একটি ‘হিটলিস্ট’ তৈরি করেছে সরকার। তাদের ধরতে ইতোমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক অপারেশন ড. এএফএম মাসুম রাব্বানীকে প্রধান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ একটি বিশেষ টাস্কফোর্সও গঠন করেছে।

টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত ৫৪ ইয়াবা গডফাদারকে ধরতে অভিযানও শুরু করেছে। ওই তালিকায় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি এবং তার নিকটাত্মীয়দেরও নাম রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নানা তালিকা থেকে এই ৫৪ জনের নতুন একটি তালিকা করা হয়েছে। এ ছাড়া তালিকাভুক্তদের ধরতে বিশেষ টাস্কফোর্সও গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

এই টাস্কফোর্সে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার, কোস্টগার্ড, এনএসআই ও ডিজিএফআই-এর প্রতিনিধিরা রয়েছেন।তা ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রধান করে একটি কোর কমিটিও গঠন করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। মন্ত্রণালয় কোর কমিটি ও বিশেষ টাস্কফোর্সের কর্মপরিধিও নির্ধারণ করে দিয়েছে। কোর কমিটিকে সারা দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স গত সপ্তাহে ৩ দিন তালিকাভুক্ত ‘ইয়াবা গডফাদারদের’ টেকনাফের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। প্রায় ৬০টি বাড়িতে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে রেজাউল করিম নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ইয়াবা গডফাদার সাইফুল করিম, ইয়াহিয়া, জুবায়ের, নুরুল হুদা, মোজাম্মেল, শাহ আলম, সালমানের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তালিকাভুক্ত এসব ইয়াবা গডফাদারদের কাউকে বাড়িতে পায়নি টাস্কফোর্স। তারা দেশজুড়ে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। তাদের একটি বড় অংশ রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপন করে আছেন। কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলেও তথ্য পেয়েছে টাস্কফোর্স।টাস্কফোর্সের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ফোর্স সংকটের কারণে আমরা ঠিকমতো অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না। জোরদার অভিযান চালাতে হলে অন্তত ২০০ ফোর্স দরকার।’