সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৫১১টি। এসব পদের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থায় শূন্য পদ রয়েছে ২ হাজার ৫৯৬টি। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘শূন্য পদের বিপরীতে দপ্তর ও সংস্থার নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিছু কিছু শূন্য পদ পদনোন্নতির মাধ্যমে পূরণযোগ্য। একই সঙ্গে কিছু কিছু পদ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে পূরণযোগ্য। বিধায় শূন্য পদ পূরণের তারিখ নির্দৃষ্টভাবে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের অফিস আদালতে সাধারণ মানুষ যাতে সঠিক সেবা পায় সেই বিষয়ে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব সেবার মধ্যে সিটিজেন চার্টার অন্যতম। এর অধীনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেবা পদ্ধতি সহজীকরণের উদ্দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে হেল্পডেস্ক স্থাপন, মাঠ প্রশাসনে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন, ইলেক্ট্রনিক হাজিরা, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা আনতে ই-জিপি/ই-টেন্ডারিং চালু করা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

সাংসদ সেলিম উদ্দিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে প্রজাতন্ত্রে কর্মরত ১ম শ্রেণি থেকে ৪ শ্রেণি পর্যন্ত বেতনস্কেল গ্রেড ভিত্তিক ভাবে পরিচিত হচ্ছে। এর আগে (চাকরি বেতন ও ভাতাদি আদেশ, ২০০৫ জারির পূর্বে) জনপ্রশাসনের কর্মচারিগণ ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে বিভাজিত ছিল।’