পাবনার নারী সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যা মামলা এজাহার ভুক্ত তিন আসামীর বিরুদ্ধে দুদক পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামীরা হচ্ছেন, পাবনার ইড্রাল ওষধ কোম্পানী ও শিমলা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মালিক সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামী তার সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেন, শ^াশুড়ি তাসলিমা হোসেন ও স্বামী রাজিব হোসেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) জালাল উদ্দিন এ তথ্যা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে এই মামলা তিনটি রুজু হয়েছে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভুত ১১ কোটি ৫১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ ও আয়ের বিবরণী দাখিল না করায় দুদক তাদের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় পৃথক পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, দুদক পাবনা অফিস ইড্রাল ওষধ কোম্পানী ও শিমলা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মালিক নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নদী হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার বহু আগে তদন্তে নামে। তদন্তে দুদক আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১৯৭৭ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত নিজ নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলে ৪০ কোটি ৬৬ লাখ ১’শ টাকার সম্পদের হদিস পায়। এর মধ্যে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৮ কোটি ১লাখ ৯১ হাজার ৮’শ ২৯ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা হোসেনের নামে অর্জিত ২ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ২’শ ১৫ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ১ কোটি ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯’শ ৩৮ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায়। এরপর দুদক অনুসন্ধানে জানতে পারে আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেনের নামে অর্জিত ২ কোটি ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৫’শ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩’শ। এ বিষয়ে দুদক আইনে তাদেরকে ৭ দিনের মধ্যে আয়-ব্যয়ের উৎস বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। এরপর তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও ৭দিন সময় বাড়ানো হয়। চলতি মাসের ৪ তারিখে দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়-ব্যয়ের বিবরণী দাখিলের সব শেষ সময় থাকলেও অভিযুক্তরা তা দাখিল না করায় দুদক সমন্বিত পাবনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।