ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামীকাল শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে পবিত্র আশুরা উদযাপিত হবে। আশুরা মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের একটি দিন। হিজরির সাল অনুসারে ১০ মহররম কারবালায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের মৃত্যুর দিনটি সারাবিশ্বে মুসলমানরা পালন করেন।

বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয় আশুরা। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। দেশে শিয়া সম্প্রদায় মুহররম মাসের প্রথম দশ দিন শোক স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করে। আশুরার দিনে তাজিয়া বের করা হয় শোকের আবহে। মূলত ইমাম হোসেন (রা.) এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে এই মিছিলে হয়। আরবি তাজিয়া শব্দটি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়।রাজধানীর হোসাইনী দালান ইমাম বাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল বের হবে। রাজধানীতে আশুরা উপলক্ষে বড় আয়োজন পুরান ঢাকায় হোসাইনী দালান থেকে তাজিয়া মিছিল হলেও মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, পল্টন, মগবাজার থেকেও আশুরার মিছিল বের হয়। হাজারও মানুষ এই শোক মিছিলে হায় হোসেন-হায় হোসেন’ মাতম তুলে অংশ নেয়। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি পালিত হবে।

এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাজিয়া মিছিলে প্রবেশের সময় দা, ছোরা, কাচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি ও টিফিনক্যারি ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। একইসঙ্গে মিছিলে আতশবাজি ও পট্কা ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়।এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কয়েক স্তরের সুদৃঢ় নিরাপত্তা ও প্রবেশের চার মুখে চেকপোস্টে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। আশুরা উপলক্ষে এখনও কোনও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই।উল্লেখ্য, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রা.) হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে সারাবিশ্বে মুসলিমরা আশুরাকে ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করেন।