উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই ভাব। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুরে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের শত শত হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোপা আমনের বীজতলা, শীতের আগাম শবজি, বেগুন, মরিচসহ নানা ফসল। পানির তীব্র স্রোতের কারণে কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলগুলোতে অকাল বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তা ঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা নৌকায় করে পারাপার হচ্ছেন।

কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ি, পলাশপুর, নতুন মাইজবাড়ি, মাজনাবাড়ি, দাতবোড়া, খিরাইকান্দি, শুভগাছা, উজান মেওয়া খোলা, নতুন মাইজবাড়ি, ভাঙ্গারছেও গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় মহিমাপুর, কালিকাপুর, জিওল, দাঁদবোরা, পলাশপুর, কালিকাপুর, মাজনাবাড়ি, হাটগাছা, নতুন মাইজবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাসরাজবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়সহ মোট ২৫টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।জিওল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের জানান, গতরাতে বন্যার পানি বিদ্যালয়ের মাঠ ও রাস্তায় ঢুকে পড়েছে। ফলে আমরা কষ্ট করে আসলেও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না।

কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, কিছু বিদ্যালয়ে পানি ঢোকায় পাঠদান বন্ধ হয়েছে। কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের হাটগাছা, খাসরাজবাড়ি, পলাশপুর, নতুন মাইজবাড়ি, মাজনাবাড়ি, দাতবোড়া, খিরাইকান্দি, শুভগাছা, উজান মেওয়া খোলা, নতুন মাইজবাড়ি, ভাঙ্গারছেও গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ।কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, এবারের বন্যায় কাজিপুরে প্রায় ২২০ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ভারতের অংশে বৃষ্টিপাতের কারনে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।