সুইডেনের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেনকে।৯ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে দেশটিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট এবং নব্য জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি সমর্থন বাড়তে থাকার মধ্যে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ওই অনাস্থা ভোট হয়।অভিবাসন-বিরোধী কট্টর ডানপন্থি পার্টি সুইডেন ডেমোক্র্যাটসের (এসডি) সঙ্গে মিলে মধ্য ডান পার্টিগুলোও লফভেনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।তার বিপক্ষে পড়েছে ২০৪ ভোট এবং পক্ষে পড়েছে ১৪২ ভোট। লফভেনকে এখন পদত্যাগ করতে হবে।চার বছরের শাসনক্ষমতা থেকে তিনি সরে যাওয়ার পর র্পার্লান্টের স্পিকার একজন নতুন নেতার নাম প্রস্তাব করবেন। এ প্রক্রিয়ায় কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।নতুন কেউ দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত লফভেন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করবেন।

তবে সুইডেনের পার্লামেন্টে কোনো প্রধান রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ায় কারা পরবর্তী সরকার গঠন করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।মধ্য-বাম স্যোশাল ডেমোক্র্যাট নেতা লফভেন ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসেন। তার মধ্য-বাম জোট এ মাসের নির্বাচনে ১৪৪ আসন পায়। যা মধ্য ডান বিরোধীদলের তুলনায় একটি আসন বেশি।পার্লামেন্টে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে আছে জাতীয়তাবাদী দল সুইডেন ডেমোক্র্যাটস (এসডি)। কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক ব্লকগুলোর কোনোটিই এসডি’র সঙ্গে হাত মিলাতে ইচ্ছুক নয়।বিবিসি জানিয়েছে, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন বৃহত্তম এলায়েন্স পার্টি মডারেটস নেতা ইউআইএফ ক্রিসটারসন। তবে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তার এসডি কিংবা মধ্য-বাম দলের সমর্থন প্রয়োজন।ওদিকে, নতুন স্পিকার আন্দ্রেজ নরলেনও মডারেটস এলায়েন্সের সদস্য। এসডি’র সমর্থন নিয়ে তার প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার বিষয়টি সোমবার একরকম নির্ধারিত হয়ে গেছে।তবে নতুন সরকার মূলত ক্রিসটারসনই গঠন করবেন বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি ব্যর্থ হলে অন্য কাউকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। আমন্ত্রণ পেতে পারেন লফভেনও।