পরিচ্ছন্ন রাজধানী গড়ে তুলতে প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।নগর পরিচ্ছন্নতায় গিনেসবুকের স্বীকৃতি পাওয়ার পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এই সহায়তা চান তিনি।এই অর্জনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করার কথাও বলেন মেয়র খোকন।

যে নেতার জন্ম না হলে এই দেশ, এই স্বাধীনতা আসত না সেই নেতার নামে তা উৎসর্গ করা হল। মেয়র খোকন বলেন, এই রেকর্ড গড়ার সম্মানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরও ব্যাপক বাড়াতে হবে।পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে এ রেকর্ড করাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা চেয়েছি, এমন কর্মসূচির মাধ্যমে শহরবাসী পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে যেন সচেতন হন। আর এই রেকর্ডের মাধ্যমে বিশ্ববাসী জেনেছে, এ দেশের মানুষ পরিচ্ছন্নতায় সচেতন জাতি।এই সম্মান তখনই অর্থবহ-কার্যকর হবে যখন এই শহরবাসীকে পরিপূর্ণ একটি পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে পারব। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে শুধু একজন মেয়রের পক্ষ এ বিশাল কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রতিটি নাগরিককে মেয়রের ভূমিকায় থাকতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জিটিভির চেয়ারম্যান গাজী দস্তগীর এমপি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহম্মদ বিলাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. জাহিদ হোসেন, সচিব শাহাবুদ্দিন খান, রেকিট বেনকিজারের বিপণন পরিচালক সৈয়দ তানজিম রেজওয়ান, জিটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমান আশরাফ ফায়েজ প্রমুখ।ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের জরিপে ঢাকা বসবাসের দ্বিতীয় অযোগ্য শহর- একজন সাংবাদিক এতথ্য জানালেন মেয়র বলেন, তিনি এ রিপোর্টে ‘আশ্চর্য’ হয়েছেন।এই রিপোর্টে এমন কিছু শহরকে ঢাকা শহরের চেয়ে উপরে দেখানো হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন মসজিদে বোমায় শত শত মানুষ নিহত হয়, যে শহরে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। যে শহরে প্রতিদিন রক্তের হোলি খেলা হয়। যে শহরে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে,সে শহর কিভাবে ঢাকা বাসযোগ্যতার দিক থেকে ঢাকা শহরের থেকে এগিয়ে যেতে পারে? ঢাকার আইনশৃঙ্খলা, ঢাকার সার্বিক চিত্র পৃথিবীর বহু শহরের তুলনায় ভালো।গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির আয়োজন করে ডিএসসিসি ও রেকিট বেনকিজার। পরিচ্ছন্নতায় বিশ্বরেকর্ড গড়তে ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ শীর্ষক এ প্রতীকী কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছিল। তবে এতে নিয়েছিলেন ১৫ হাজার ৩১৩ জন মানুষ অংশ নেয় বলে সে সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছিল।আর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ গণনা করেছে সাত হাজার ২১ জন।কর্মসূচির পাঁচ মাস পর রেকর্ডটির স্বীকৃতি দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি সনদ ডিএসসিসির কাছে পৌঁছে দিয়েছে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের ওয়েব সাইটেও স্বীকৃতির এ তথ্য জানানো হয়েছে ।