চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পর পর দুই ম্যাচে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি পাকিস্তান। তবে তাদের অননুমেয় চরিত্রের কথা তো জানা গোটা ক্রিকেট বিশ্বের। নিজেদের দিয়ে পাকিস্তান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, জানেন স্টিভ রোডস। সেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। কোচের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা, আমরাও কম বিপজ্জনক নই!

পাকিস্তান টুর্নামেন্টে এসেছিল অন্যতম ফেভারিট হিসেবে। তবে ভারতের কাছে যেভাবে দুই দফায় উড়ে গেছে তারা, তাতে মনোবলে জোর ধাক্কা লড়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তান দলকে নিয়ে শেষ কথা বলে কিছু নেই কখনোই। কোনো পূর্ব সংকেত ছাড়াই উঠে যেতে পারে তারা তলানি থেকে চূড়ায়।বালাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি কার্যত রূপ নিয়েছে এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে। জয়ী দল খেলবে ফাইনালে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর পাকিস্তানের জ্বলে ওঠার নজির আছে অসংখ্য। সেই বাস্তবতা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রোডস। তবে মঙ্গলবার দুবাই স্পোর্টস সিটিতে অনুশীলন শেষে নিজেদের বার্তাটাও বাতাসে ছড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ কোচ।

পাকিস্তান দলের প্রতি আমাদের সমীহের কমতি নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা যা করেছিল, এখনও খুব বেশি আগের কথা নয়। দারুণ খেলেই জিতেছিল। এই টুর্নামেন্টে ওদের একটু আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ওরা বিপজ্জনক দল। নিজেদের দিনে ওরা সত্যিই ভয়ঙ্কর হতে পারে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে।ক্রিকেট দল হিসেবে ওদের প্রতি শ্রদ্ধা আছে আমাদের, চ্যালেঞ্জটির জন্য মুখিয়ে আছি আমরা। তবে আমরাও বিপজ্জনক দল এবং তারাও সেটা জানে। দারুণ লড়াই হবে। ম্যাচটি কার্যত সেমি-ফাইনালে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসার পর আমরা এটিই চেয়েছিলাম, এই জায়গাতেই আসতে চেয়েছিলাম। এখন চেষ্টা করব পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের বিপক্ষে দারুণ একটি ফাইনালে লড়তে।দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ে ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই দলের চেয়ে এখনকার পাকিস্তান দল বদলে গেছে অনেকটাই। ক্রিকেটীয় শক্তিতে পাকিস্তানকেই এখন এগিয়ে রাখলেন রোডস।সত্যি বলতে, পাকিস্তান এই ম্যাচে ফেভারিট। তবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। বরং খুব ভালো জায়গা আছি আমরাও। ওরাও জানে আমরা বিপজ্জনক দল। আন্ডারডগ হিসেবে ম্যাচে যাওয়াটা আমাদের পক্ষেও কাজ করতে পারে।পাকিস্তানের অনুনমেয় চরিত্রটা নিয়ে শঙ্কার একটা জায়গা সব প্রতিপক্ষেরই থাকে। তারা নিজেদের সেরাটা খেললে আটকে রাখা কঠিন। বাংলাদেশ কোচের চাওয়া, অন্তত আরেকটি ম্যাচ চুপসে থাকুক পাকিস্তান।আশা করি, আরেকটা খারাপ দিন যাবে ওদের। কারণ ওদের যদি খারাপ দিন আসে, আর আমরা ভালো খেলি, তাহলে আমরা জিতব। তবে আমরা তো জানি না, কালকে পাকিস্তানের কোন চেহারা দেখা যাবে! সেটি আমোদের নিয়ন্ত্রণেও নেই। আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমরা কিভাবে খেলি। আমাদের চাওয়া থাকবে যেন আমরা ভালো খেলি।