রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী শনিবার জনসভা থেকেই ‘ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও কর্মসূচি’ ঘোষণা করবে বিএনপি। আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই জনসভা থেকে আমরা আমাদের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেব। আমাদের ভবিষ্যতের কর্মপন্থা, ভবিষ্যতের কর্মসূচি – এগুলো আসবে।’

শনিবারের জনসভার পুলিশি অনুমতির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা জনসভা করতে চেয়েছিলাম ২৭ তারিখে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, ২৭ তারিখ করা ঠিক হবে না। শনিবার ২৯ তারিখ ছুটির দিন সেদিন করেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করেন। সেজন্য আমরা ২৯ তারিখে জনসভা করার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে – না। সেদিন নাকি আওয়ামী লীগের কোনো একটা মতবিনিময় সভা আছে, আমি ঠিক জানি না। এটা মহানগর নাট্যমঞ্চে সম্ভবত আছে। বহু দূরে এই মতবিনিময় সভা। তার সঙ্গে আমাদের জনসভার সম্পর্কটা কোথায়, বিরোধ কোথায় সেটা তো আমরা বুঝতে পারছি না।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘নাসিম সাহেব (মোহাম্মদ নাসিম) এক সভায় বলেছেন, রাজপথে গলিতে যেখানে পাবা সেখানে আটকিয়ে দাও। সেখান থেকে যেন বিএনপি বেরিয়ে আসতে না পারে। আর জাহাঙ্গীর কবির নানক বলছেন, হাত-পা ভেঙে দাও। এই তো হচ্ছে তাদের গণতন্ত্রের ভাষা। জনগণ বিবেচনা করবেন এই সংঘাত সহিংসতা কারা শুরু করে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর কারা লগি-বৈঠা দিয়ে সেদিন ২৭ জন তরুণকে হত্যা করেছিল- এটা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। দুর্ভাগ্য এটা যে আমাদের মিডিয়া কেন জানি এসবকে সামনে তুলে নিয়ে আসে না।’

শনিবারের অনুমতির জন্য আবেদন করবেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, ‘ভাই অনুমতির আবেদন-টাবেদন না। ইট ইজ দেওয়ার রেসপনসেবলিটি। এটা তারা ঠিক করবেন কী করবেন?’

জনসভা কী ২৯ তারিখ হবে এমন প্রশ্নে বিএনপির এই নেতা বলেন,‘আজকে আমরা যৌথসভা করেছি ২৯ তারিখের জনসভার জন্য।’ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনর আগে মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে দলের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হাই, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, অঙ্গসংগঠনের এজিএম শামসুল হক, আনোয়ার হোসেইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম,হেলাল খান, সুলতানা আহমেদ, হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, আবুল কালাম আজাদ, সাদেক আহমেদ খান, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, মিলন মেহেদি, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ঢাকা জেলার খন্দকার আবু আশফাক, টাঙ্গাইলের শামসুল আলম তোহা প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।