পাবনার সাঁথিয়ার নাগডেমরা গ্রামে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী মুক্তি খাতুনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ডাঃ জাহেদ আলী ও তার ছেলে জীবনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সাাঁথিয়া থানা পুলিশ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাদের গ্রেফতার করে। সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ডাঃ জাহেদ আলী এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এবং মামলার ২ নম্বর আসামী।

উল্লেখ্য, গত ১৯ আগষ্ঠ রোববার দুপুরে সাঁথিয়ার নাগডেমরা গ্রামের উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও সালাম গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে সালামের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেলের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনার সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ পরিবারের অন্যান্য পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে যান। এ সময় হামলাকারীরা পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের মেয়ে মুক্তি খাতুনকে (২২) ঘর থেকে টেনে উঠানে নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই হামলায় তার চাচাতো বোন আফরোজা খাতুন (৩০) এগিয়ে গেলে তারা তাকেও পিটিয়ে আহত করে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ মুক্তি খাতুনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় মোজ্জাম্মেল হক বাদী হয়ে ঘটনার রাতেই রাতেই ৩২ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা করেন (নং ১৭)। ওই সময়ে অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করে।