রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জামাল মোস্তফার ছেলে রফিকুল ইসলাম রুবেলকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর বি-ব্লক এলাকায় ১১৫ পিস ইয়াবা নিয়ে রুবেলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানা পুলিশ। অপর দুজন হলেন, তানজিলা আক্তার শিউলী ওরফে সীমা ও মো. আওলাদ।

আজ বৃহষ্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলা নম্বর ৮৫। আদালতে হাজির করে পুলিশ ওই তিনজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র ওসমান গনির অকাল মৃত্যুর পর থেকে প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন জামাল মোস্তফা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মিরপুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় রুবেলের নাম ১২ নম্বরে রয়েছে। অভিযোগ, কাউন্সিলর বাবার প্রভাব খাটিয়ে রুবেল দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।

তবে স্থানীয়দের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে ডিএসসিসি’র প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা জানান, তার ছেলে প্রতিহিংসার শিকার। নির্বাচন সামনে রেখে তার (জামাল) জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে একটি মহল তার ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করিয়েছে। কিছুদিন আগে তানজিলা আক্তার শিউলী ওরফে সীমা নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে তিনি পুলিশে দিয়েছিলেন। তখন সীমা বলেছিলেন, তিনি এর প্রতিশোধ নেবেন।

মেয়র বলেন, বৃহষ্পতিবার রাতে রুবেল বাসায় ছিলেন। তাকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধু আওলাদ। পরে জামাল মোস্তফা জানতে পারেন ওই নারী ও রুবেলকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সীমাকে ধরিয়ে দেওয়ার আক্রোশ থেকেই চক্রটি রুবেলকে ফাঁসিয়েছে দাবি করেন ডিএসসিসি’র প্যানেল মেয়র।

পল্লবী থানার এসআই সুলতান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে মিরপুর ১০ নম্বর বি-ব্লক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ১১৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন তিনি। এ সময় মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তানজিলা ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।